আমাদের ভারত, ৭ অক্টোবর: ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে এস আই আর- এর কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে বিএলও’রা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফর্ম গ্রহণ করেছেন বলে খবর। কিন্তু বৃহস্পতিবার সে খবর নিজে নস্যাৎ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, তিনি নিজের হাতে ফর্ম নিয়েছেন বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা মিথ্যা। একই সঙ্গে বাংলার প্রত্যেক নাগরিক ফর্ম পূরণ না করা পর্যন্ত তিনি ফর্ম পূরণ করবেন না বলেও জানিয়েছেন। আর এই প্রসঙ্গেই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে নিজে মমতা লিখেছেন, গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন তাদের নির্দিষ্ট কাজ করতে। কর্মসূত্রে আমার রেসিডেন্স অফিসে এসে বাড়িতে রেসিডেন্সে কতজন ভোটার জেনেছেন, ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন। যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছে আমি নিজে কোনো ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবো না। একইসঙ্গে তাঁকে নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছে তাও নস্যাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে আমি বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের হাতে বিএলও’র কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছি, এ খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা বলেছি মুখ্যমন্ত্রী সবার আগে ফর্ম ফিলাপ করে জমা দেবেন। ওর বাড়িতে সতেরো খানা ফর্ম গিয়েছে বলে খবর আছে আমাদের কাছে। দেখতে থাকুন মুখ্যমন্ত্রী সবার আগে ফর্ম ফিলাপ করে জমা দেবেন। যদি এক কথার মানুষ হন সত্যিই যেন ফর্ম ফিলাপ না করেন। আপনার নামটা যেন ভোটার তালিকায় না থাকে।
মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে এসআইআর শুরু হয়েছে। আবার ওই দিনই এসআইআর- এর প্রতিবাদে সংবিধান হাতে রাস্তায় নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল। এরপর বৃহস্পতিবার সংবিধান রক্ষা যাত্রায় নেমেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এই আবহে বৃহস্পতিবার একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেন সিপিআইএম- এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেখানে একজন মহিলা এবং এক পুরুষের কন্ঠ শোনা যাচ্ছে। মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, অফিস থেকে বার বার বলছে তাই কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমাদের পাড়া থেকে শুরু করেছি। অন্যদিকে পুরুষটি বলেছেন তোকে আমি বললাম আমাকে একবার জানাবি। এই পাগলামি কিন্তু করিস না, অন্য ছেলেপিলে থাকবে। তখন কিন্তু কিছু হয়ে যাবে, বলবি আমার সুরক্ষা নেই, এই নেই। সিপিএমের দাবি, এক মহিলা বিএলওকে ভয় দেখাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের কোনো নেতা।

