আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২২ ডিসেম্বর: মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সরকারি কর্মচারিদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বিধানসভা অভিযানের সময় দেখা গিয়েছিল। রাজ্য সরকার যদি তার পরেও ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আগামী দিনে আরো বড় আন্দোলন হবে। আর যে কোনো ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার দায়ী থাকবে। রাজ্য কো অর্ডিনেশন কমিটির ২০ তম রাজ্য সম্মেলনের আগে সাংবাদিক বৈঠক করে এরকমই হুঁশিয়ারি দিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক ভারসাম্যের পরিবর্তন ছাড়া এই সরকারের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার নেই। এটা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে। তবে তারা প্রশাসনের অভ্যন্তরে আছেন। তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
চলতি মাসের ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরের রবীন্দ্র ভবনে রাজ্য কো অর্ডিনেশন কমিটির ২০তম রাজ্য সম্মেলন হবে। ওই সম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কর্মীরা ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারিদের সমন্নয় পরিষদের নেতৃত্বরা আসছেন। এছাড়া ত্রিপুরা থেকে সরকারি কর্মীরা আসছেন। পাশাপাশি সারা ভারত রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি সুভাষ লাম্বা ছাড়াও সিটুর সর্বভারত সভানেত্রী কে হেমলতা এবং আন্নান মোল্লা আসছেন। বিজয় বাবু আরও বলেন, “রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার ভোটের রাজনীতি করার জন্য দেওয়া হচ্ছে। এই টাকা মানুষের কোনো কাজে আসবে না। এর পরিবর্তে একশো দিনের কাজ সঠিক ভাবে করালে উপকারে আসতো। সেখানেও দুর্নীতি হয়েছে।”