আমাদের ভারত,১৭ ডিসেম্বর:সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পশ্চিমবঙ্গে লাগু করতে হবেই রাজ্য সরকারকে। সংসদে পাস হওয়া আইন বলবৎ করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। আর রাজ্য সরকার যদি তা কার্যকর না করে তাহলে রাজ্যে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। এমনটাই মনে করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশ। একই অভিমত জানিয়েছেন লোকসভা ও দিল্লি বিধানসভার প্রাক্তন সচিব এস কে শর্মা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বারংবার দাবি করেছেন, তিনি রাজ্যের এনআরসি কিংবা নাগরিকত্ব আইন কোনভাবেই বলবৎ হতে দেবেন না। এমনকি ণার সরকার পড়ে গেলেও না।
তাহলে প্রশ্ন উঠছে যদি কেন্দ্রের বলবৎ করা আইন রাজ্য সরকার কার্যকর না করে তাহলে কি হতে পারে? সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে সংবিধানের ১১নং ধারায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নাগরিকত্ব ও এই সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে সংসদের এক্তিয়ারভুক্ত। এই সংক্রান্ত আইন তৈরি করতে পারে একমাত্র সংসদ। এক্ষেত্রে রাজ্যের হাতে কোন ক্ষমতা নেই।
প্রথম মোদী সরকারের আমলে নাগরিকত্ব বিল পাস করানোর চেষ্টা হলেও সেটি রাজ্যসভায় আটকে গিয়েছিল। বিলটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটির ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্য সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও অষ্টম লোকসভার সেক্রেটারি সুভাষ কাশ্যপকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি বলেন ধর্মের ভিত্তিতে এই আইন পাস করানো যায় না। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন বলবৎ করা নিয়ে করা নিয়ে তিন বলেন, সংসদ আইন পাস করলেও তা কার্যকর করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। কোন রাজ্য যদি তা না করে, তবে তা সংবিধান ভঙ্গের সামিল। আর সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে পারে কেন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন,পশ্চিমবঙ্গে যদি নাগরিকত্ব আইন বলবৎ করতে না চায় রাজ্য সরকার তাহলে দুটি পথ রয়েছে। একটি পথ হলো, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া এবং নিজেদের সমর্থনে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দেওয়া। একই সঙ্গে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে আইনটিকে থামানো।
রাজ্য যদি এই আইন লাগু করতে না চায় সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করতে পারে। আর রাজ্য আইন লাগু করতে না চাইলে সেটকে সংবিধান কার্যকর করার ব্যর্থতা বলেই ধরে নেওয়া হবে। ফলে সেক্ষূ রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির কথা উঠতেই পারে।