আমাদের ভারত, বহরমপুর, ২৩ জানুয়ারি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুললেন অধীর চৌধুরী। শনিবার বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলে বাংলার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন।
এদিন তৃণমূলের দলত্যাগীদের প্রসঙ্গে বলেন, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে গেলে পোলাও পাওয়া যাবে না, দিদির দলে পান্তা ভাত পেতেন গালিগালাজ পেতেন, ওখানে (বিজেপি) গেলেও পাবেন। নীল থেকে গেরুয়া হলে আখেরে লাভ হবে না। রং আলাদা হলেও এরা সবাই এক জঙ্গলের শেয়ার বলে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।
মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরী বলেন , তুমি যেমন বীজ বুনবে তেমন হবে। তুমি কংগ্রেস দলকে ভাঙিয়ে ছিলে এখন তোমাকে ভুগতে হচ্ছে তার ফল। ক্ষমতায় এসেছেন ঠিক কথা, কিন্তু দিদি ও মোদী গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত হয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন।
অধীরবাবু বলেন, নেতাজি নামে ডক থাকলেও সেটা উঠিয়ে দিল বিজেপি সরকার। ভোটের বাজারে পন্য করার নাম নেতাজী হতে পারেন না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নেতাজিকে নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন। নেতাজি পরিবারের যারা সাংসদ ছিলেন তাদের আর দেখতে পাওয়া যায় না। এই রাজ্যে নেতাজির পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করা হয়েছে আমরা দেখেছি।
অন্যদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বলতে গিয়ে অধীরবাবু বলেন , আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছি, রাজ্য পুলিশের কাছে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রন করা হবে। এই বিষয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তারা বুথের কথা জানে না। তাই বেশি করে জিপিএস দরকার ও অভিযোগ গ্রহন করার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অবজার্ভার থাকলেও তারা ফোন ধরেনা বলে অধীরবাবু অভিযোগ করেন। যারা অবজার্ভার হয়ে আসছেন তারা কতটা নিরপেক্ষ থাকবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর অভিযোগ -যারা অবজার্ভার হিসেবে আসেন রাজ্য সরকার তাদের ক্রয় করে নেয় কিন্তু নিরপেক্ষতার বড়বড় কথা বলে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করবার জন্য সঠিক ব্যাবস্থা যাতে গ্রহন করা হয় তার জন্য আমরা বলেছি।
তিনি বলেন, দিদি ও মোদী উভয়ে ভোটের বাজারে নেমেছে নির্বাচনী পন্য নিয়ে। সেই পন্য যাতে বাজারে বিক্রি হয় তার চেষ্টা করছেন। পন্য বিক্রির জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না। নেতাজি ছিলেন দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ আদর্শের প্রতীক। তাই এই সমস্ত বিখ্যাত মনীষীদের যাতে রাজনৈতিক পণ্য না করা হয় তার আবেদন রাখেন অধীরবাবু।