আমাদের ভারত, ২৮ মার্চ: কোনো সম্প্রদায় সংখ্যালঘু কিনা সেটা নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মোট জনসংখ্যার উপর। যে রাজ্যগুলিতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেই রাজ্যগুলির সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ নম্বর ধারার মাধ্যমে তাদের সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, লাক্ষাদ্বীপ, লাদাখ, কাশ্মীরে হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘু মর্যাদা চাওয়ার আবেদনে সুপ্রিম কোর্টকে এই কথাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
টিএমএ পাই এবং অন্যান্য মামলার বিষয়ে উল্লেখ করে কেন্দ্র সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, কোনো সম্প্রদায় সংখ্যালঘু কিনা তা নির্ধারিত হয় রাজ্য সরকারের সমগ্র জনসংখ্যার ওপর। অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলার পাল্টা হলফনামায় বলা হয়েছে, রাজ্যগুলির সংখ্যালঘু ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার ইহুদিদের ওই রাজের সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কর্ণাটক সরকার উর্দু, তেলেগু, মালায়লাম, তামিল, মারাঠি, টুলু ইত্যাদিকে রাজ্যের ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বিষয়গুলো তুলে ধরে কেন্দ্র জানিয়েছে ইহুদি, বাহাল এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী যারা লাদাখ, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত সংখ্যালঘু তারা ২৯ ও ৩০ ধারার অধীনে সংখ্যালঘুদের অধিকার পেতে পারেন।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের হলফনামায় বলা হয়েছে, “রাজ্য সরকারগুলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করতে পারে। রাজ্য সরকারগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্যস্তরে সংখ্যালঘু চিহ্নিতকরণের জন্য নির্দেশিকা নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।”