আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১৮ জানুয়ারি: আমি বাঙলাদেশ থেকে এসেছি পারলে আমাকে তাড়াক। আমি বাংলাদেশি। বর্ধমানে এসে এইভাবেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বর্ধমানের কার্জনগেটের জনসভা থেকে অধীর চৌধুরী বলেন, অত্যাচারিতের ধর্ম হয় না। ওরা নাটক করছে। আর দুজনেই পাল্টি খাচ্ছে।
জাতপাতের রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি একথা উল্লেখ করে অধীর চৌধুরী বলেন, নরেন্দ্র মোদী কথায় কথায় বলেন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেবো। তিনি কি জানেন এ ক্ষেপণাস্ত্র কে তৈরি করেছিলেন? ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছিলেন ডঃ আব্দুল কালাম। যাকে বলা হয় মিসাইল ম্যান। সেটা কি আমরা অস্বীকার করতে পারি। যারা দেশের জন্য কিছু করলো না যারা স্বাধীনতার জন্য কিছু করল না, স্বাধীনতার সময় শুধু ব্রিটিশদের দালালি করল আজ তাদের হাতে দেশের নেতৃত্ব গেলে দেশ আজ কোথায় যাবে সেটা বুঝতে কারো অসুবিধা হবে না। তাই আজ নতুন করে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি হচ্ছে। এই বিভাজন রাজনীতিকে রক্ষার জন্য সারা দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশ জুড়ে মানুষ প্রতিবাদ করছে। কারণ এই আইন সংবিধানবিরোধী।
তিনি বলেন, আজকে ওরা যেমন বলছে মুসলমানদের জায়গা হবে না আগামী দিনে দেখা যাবে তপশিলি জাতি উপজাতিদের জায়গা হবে না। আরএসএস নেতা মোহন ভাগবত বলেছেন ভারতবর্ষে তপশিলি জাতি উপজাতি ও ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ দেওয়ার যে প্রথা আছে সেটাকে নতুন করে বিবেচনা করে বাতিল হওয়া দরকার। আজকে যখন মুসলমানের অধিকার কেড়ে নেওয়া কথা বলা হচ্ছে কালকে তেমনি তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হতেই পারে, তাই এখন থেকে সতর্ক হোন। প্রতিবাদের ফলে বিজেপি পার্টি নড়বড় করছে। তাই অমিত শাহ এক কথা বলছে আর নরেন্দ্র মোদী অন্য কথা বলছে। আগে বলছিল এই কাগজ লাগবে ওই কাগজ লাগবে এখন বলছে কাগজ না দেখালেও চলবে। আসলে মানুষের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদ দেখে তারা পালটি খাচ্ছে। অমিত শাহ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলছে আজ থেকে এনআরসি চালু হয়ে গেছে, আর নরেন্দ্র মোদী রামলীলা ময়দানে দাঁড়িয়ে বলছে এনআরসি তো ম্যায়নে সুনাই নেহি! আসলে ওরা পাল্টিবাজ। ওদিকে এক পাল্টিবাজ মোদী আর অন্যদিকে এক পাল্টিবাজ দিদি। দুই পাল্টিবাজের রাজনীতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তাই মানুষের ভরসা জাতীয় কংগ্রেস। এনপিআর নিয়ে দিল্লির বৈঠকে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, ওখানে কমিশন বৈঠক ডেকেছিল। তাই অফিসারেরা গিয়েছিল। কোনও পার্টি সেখানে যায়নি। আর সেখানে এনপিআর নিয়ে আপত্তির কথা আমরা জানিয়েছি।