আশিস মণ্ডল, বোলপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি: “পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি কোনো বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত পড়ে তাহলে সেই হাত তুলে দেওয়ার ক্ষমতা আমরা রাখি”। বুধবার বোলপুর সাংগঠনিক জেলার লাভপুরে একটি জনসভায় এভাবেই শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বীরভূমকে পাখির চোখ করছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদারদের ঘন ঘন বীরভূম সফরই তার বড় প্রমাণ। ১৪ এপ্রিল আবার ঝড় তুলতে সিউড়ি আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার সন্ধ্যায় লাভপুরের সভায় থানার ওসিকে ভালোভাবে কাজ করার জন্য হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি একটি ছড়া পাঠ করে বলেন, “আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে সূর্য গেছে পাটে, দিদি যাবে জেলখানাতে তিহার জেলের খাটে। ফলে দিদির এখন জেলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আর লাভপুর থানার আইসি আপনি তৃণমূলের হয়ে কাজ করা ছাড়ুন। আর তৃণমূল করতে হলে উর্দি খুলে দল করুন। অতি লোভে তাঁতি ডোবে। আপনার ডোবার সময় চলে এসেছে। আপনাকে ময়ূরাক্ষী নদীতে ডুবতে হবে”।

একই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করে সুকান্ত বলেন, “কাজল শেখ, কেরিম শেখদের হুমকিতে ভয় পাবেন না। গরু চোর, কয়লা চোরদের দেখে ভয় পাবেন না”।ত্রিপুরার দায়িত্বে থাকা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে রাজ্য সভাপতি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলে এসেছিলেন। কিন্তু বিজেপি করে কম্মে খাওয়ার জায়গা নয়। তাই চোরের দলে ফিরে গিয়েছেন। তিনি আবার ত্রিপুরার দায়িত্ব নিয়ে নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে। এরা ত্রিপুরায় কর্মসংস্থানের কথা বলছে। আর রাজ্যের হাজার হাজার যুবক ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছে। কেন্দ্র যখন এক টাকা তেলের দাম কমালো এরাজ্য দাম কমাল দেশি মদের। এরা সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারে না। বেকার ছেলেদের চাকরি দিতে পারে না। শুধু পাঁচশো টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে”।

