আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৭ ডিসেম্বর: খাবার চুরি নিয়ে সহায়িকা ও দিদিমণির রোজকার ঝামেলার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝোলালো গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত দিদিমণি ও সহায়িকার শাস্তি চাইলেন বাসিন্দারা। শনিবার বালুরঘাটের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোহিনী এলাকার এমন ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না পেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তালাবন্ধ করেই রাখবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা।
জানা যায়, অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোহিনীর ১৭০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে প্রায় ৪৯ জন মা ও শিশু রয়েছে। অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই সেন্টার থেকে ডিম, সবজি সহ নানান ধরনের খাবার চুরি করেন দিদিমণি ও সহায়িকা। আর এই ঘটনায় নিত্যদিন দুজনের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। কখনো সেন্টারের উনুনে সবজি লুকিয়ে রাখা আবার কখনো সেন্টারের পাশের জঙ্গলে ডিম লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওই সেন্টারের দিদিমণি ও সহায়িকার বিরুদ্ধে। চুরির প্রতিযোগীতা নিয়ে নিত্যদিনের কাজিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই সেন্টারের দিদিমণি ও সহায়িকার মধ্যে। আর যা নিয়ে পরস্পরের মধ্যে বিবাদ চলতেই থাকে। আর এর জেরেই সেন্টারের শিশুরা তাদের সঠিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় সেন্টারে ঠিকমত যাতায়াত নেই দিদিমণি ও সহায়িকার বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে দিদিমণি ও সহায়িকাকে বের করে দিয়ে ওই কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেন বাসিন্দারা।
এলাকার বাসিন্দা উৎপল বর্মন ও অর্চনা বর্মনরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় ওই সেন্টার থেকে ডিম সবজি সহ নানান ধরনের খাবার চুরি করে দিদিমণি ও সহায়িকা। ঘটনা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে গন্ডগোল পাকায়। যার জেরে সঠিক পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। এমন ঘটনার বিহিত করতেই এদিন সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা না আসা পর্যন্ত সেন্টার তালা বন্ধ করে রাখা হবে।
সেন্টারের দিদিমণি সূজো মহন্ত বলেন, সহায়িকা মাঝে মধ্যেই সেন্টার থেকে খাবার চুরি করে। ফলে বাসিন্দাদের এমন কাজকে সঠিক বলে মন্তব্য করেন দিদিমণি। এতে নিজেদের ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন তারা।
অপরদিকে দিদিমণির ওপর দায় চাপিয়ে কেন্দ্রের সহায়িকা সুজলা বর্মণ বলেন, দিদিমণি খাবার চুরি করে, রান্নার জন্য সঠিক খাবার না দিয়ে তার উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। মিথ্যে কথা বলে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন দিদিমণি।