আমাদের ভারত, ২৬ ফেব্রুয়ারি: দিল্লি সংঘর্ষে এবার মৃত্যু হল এক গোয়েন্দা অফিসারের। বুধবার চাঁদবাগে এক নর্দমায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে পড়ে যাওয়ার পর তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান।
গত চারদিন ধরে সিএএ বিরোধী ও সমর্থনকারীদের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দিল্লিতে। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। তার মধ্যেই এক গোয়েন্দা অফিসারের মৃতদেহ উদ্ধার হল। মৃত আধিকারিক এর নাম অঙ্কিত শর্মা, বয়স ২৬ বছর। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে কাজ থেকে ফেরার পথে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তারপরে সম্ভবত তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
অঙ্কিত শর্মার বাবা রবীন্দ্র শর্মাও আইবি–তে কর্মরত। তাঁর অভিযোগ, আপ সমর্থকদের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলের। পাথর ছুড়ে ও পিটিয়ে মারার পরে গুলিও চালানো হয়েছে তার ছেলের ওপর।
মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়ি না ফেরায় অঙ্কিতের পরিবার খোঁজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত একটি নর্দমায় পাওয়া যায় তার দেহ। পুলিশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
গত তিনদিন ধরে উত্তপ্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লি। সিলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর ভজনপুরা, আজাদনগর, গোকুলপুরা এলাকায় চলেছে বিক্ষোভকারীদের তান্ডব। জ্বলেছে দোকানপাট ঘর গাড়ি। বাদ যায়নি পেট্রোল পাম্প। চলেছে গুলিও। ছোঁড়া হচ্ছে এলোপাথাড়ি পাথর, ইঁট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় নেমেছে আধাসেনা। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। উত্তর-পূর্ব দিল্লির চার জায়গায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। আর এই সংঘর্ষের মধ্যে এই নিয়ে দুজন পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হল। অশান্তির আঁচ কোনও ভাবেই কমছে না। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ। সুপ্রিম কোর্টও পুলিশকে ভর্ৎসনা করেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায়।