পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর: আজ ১৪ই সেপ্টেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হলো একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির এসএলএসটি পরীক্ষা। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পরীক্ষার্থী ছিল মোট ১৭ হাজার ৬৫২ জন। ভেনুর সংখ্যা ছিল ৩৩টি। এর মধ্যে মেদিনীপুর মহকুমায় ২২টি, খড়্গপুর মহকুমায় ৭টি এবং ঘাটাল মহকুমায় ৪টি পরীক্ষাকেন্দ্র নির্ধারিত ছিল।
প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল বিশেষ নজরদারি। স্ট্রংরুম, স্কুলের মেইন গেট এবং ভবনের মূল প্রবেশপথে বসানো হয়েছিল সিসি ক্যামেরা। পাশাপাশি, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় যাতে কোনও রকম অনিয়ম বা বিঘ্ন না ঘটে। প্রশাসনের স্পষ্ট নির্দেশ, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের পর আর কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে, পরীক্ষার হলে কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত চলে এই পরীক্ষা।
জেলা প্রশাসন সব দিক থেকে প্রস্তুত ছিল। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
২০১৬-র যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা সরকারি অব্যাবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ কালো সার্ট পরে পরীক্ষা দিতে আসে অনেকে। এদিন পরীক্ষার শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কার্যত ভেঙে পড়লেন বঞ্চিত চাকরীহারা শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহা। পরীক্ষা ভালো হয়নি বলেই দাবি করলেন তিনি। আর হয়তো চাকরিটা বাঁচাতে পারলেন না। এমনটাই হতাশ ভাবে জানান তিনি। প্রশ্নপত্র যথেষ্ট কঠিন হয়েছে বলে তাঁর দাবি। এত আন্দোলন করেও সব বৃথা বলে জানান সঙ্গীতাদেবী।
তিনি জানান, তাদের দাবি ছিলো যোগ্য শিক্ষকদের আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়ার। এর জন্য বিচার ব্যবস্থা ও সরকারকে দোষারোপ করেন তিনি। সবমিলিয়ে গত ৭ তারিখ নবম- দশম শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সহজ হলেও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে বলেই দাবি যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহার।