অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, চট্টগ্রাম, ৯ জানুয়ারি: ‘মাষ্টারদা‘ সূর্য সেনের আদর্শের প্রভাব তাঁকে ঋদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ ডঃ হাছান মাহমুদ।
রবিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সমাবেশে এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমার কৈশোর থেকেই সূর্য সেনের আদর্শে মুগ্ধ ছিলাম আমি। তাঁর, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এবং চট্টগ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগ মানুষ কখনও ভুলবে না। ৯০ বছর আগে প্রীতিলতার নেতৃত্বে ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণের ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ করে সেটিকে সংরক্ষণের ইঙ্গিত দেন ডঃ হাছান মাহমুদ।
অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরে মুক্তিযুদ্ধেও চট্টগ্রাম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। এই মন্তব্য করে ডঃ হাছান মাহমুদ বলেন, “চট্টগ্রাম বেতার থেকেই প্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছিল। প্রথম জনসভাও তিনি করেছিলেন চট্টগ্রামের লালদিঘির ময়দানে। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চ সেই কালরাত্রিতে পুরো চট্টগ্রামে হত্যাযজ্ঞ চলে। এই রাস্তার ধারে আমার বাড়ি। অনেক ঝড় জল সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে এই চট্টগ্রামের মানুষের।”
প্রসঙ্গত, ডঃ হাছান মাহমুদ ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি বেলজিয়ামে অবস্থানকালে সেখানকার আওয়ামী লগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সালের মার্চ পর্যন্ত বেলজিয়াম শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সপ্তম জাতীয় সংসদের সময়কালে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
রাজনৈতিক ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দলটির পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার পর ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশে অতি গুরুত্বের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।