আমাদের ভারত, ১৬ জুন: “দিনের পর দিন বাচ্চাদের শুধু ঘরে বন্দি রেখে মুঠোফোনের দিকে তাকিয়ে কোনও উন্নতি হতে পারে না। না শারীরিক, না মানসিক, না শিক্ষার ক্ষেত্রে।”
বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার কথা ছিল। কিন্তু সরকারি নির্দেশে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করলেন একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা সুচেতা রায়।
তাঁর কথায়, “টানা দু’বছর সব কিছু বন্ধ হবার পর স্কুল খুলবে ভেবে সবাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। কিন্তু এই গরম আবার সব কিছু নষ্ট করে দিল। যদিও গরমকালে গরম পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা মানিয়ে নিতে পারলে ভালো হত। দু’বছর অনলাইনে পড়াশোনা করতে গিয়ে বোঝা গেছে যে সব কিছু প্রযুক্তি দিয়ে হয় না।
সমস্ত ফি দেবার পরেও বাচ্চারা দিনের পর দিন স্কুল থেকে বঞ্চিত। সরকারি স্কুলে জানুয়ারি থেকে শিক্ষাবর্ষ। কিন্তু আইসিএসই আর সিবিএসই-র শিক্ষাবর্ষ এপ্রিল থেকে। এক মাস ক্লাস করেই সব আবার বন্ধ। বাচ্চারা নিজেদের ছন্দে ফিরছিল কিন্তু আবার বাধা। শিক্ষিকা আর মা— দুটো ভূমিকা পালন করি আমি। কোনও ভাবে এটাকে সমর্থন করতে পারছি না। সরকার একটু নমনীয় হয়ে এই ব্যাপারে একটু সহযোগিতা করতে পারত। তাহলে অনেক বাবা-মা, বাচ্চা উপকৃত হত।
অবিলম্বে স্কুল খোলা হলে এই হতাশা থেকে বেরোনোর সময় থাকবে। না হলে হয়তো অনেক দেরি হয়ে যাবে।“