রাজ্যপালের কাছে নালিশের পরদিনই বদলি! শাস্তি মানছি না, বললেন বৈশাখী

রাজেন রায়, কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর: ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে বদনাম এবং হেনস্থা করা হচ্ছে এবং সেই চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রীর ক্যাবিনেটের অন্যতম মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবারে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সেই সম্পর্কে রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানিয়ে এসেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই শনিবার সকালে আচমকা রামমোহন কলেজে বদলির নির্দেশ পেলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং এই নির্দেশিকা তিনি মানছেন না বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৈশাখীর অভিযোগ, চলতি বছরের জুন মাসে মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যক্ষা পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেও তাঁকে চাকরি থেকে উৎখাত করার চেষ্টা হচ্ছে। বলা হচ্ছে তার জন্যই বিপথগামী হচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরেও ওই কলেজের নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়নি এবং বৈশাখী ওই কলেজ ছেড়ে চলে যাননি। ফলে ওই কলেজের অচলাবস্থার জন্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ী, এমন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কলেজের ছাত্রদের মধ্যে। আর এই অচলাবস্থার জন্য হেনস্থা হতে হয়েছিল তাঁকে।

ইস্তফা দেওয়ার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং এর পেছনে দায়ী ফিরহাদ হাকিম, এই অভিযোগে শুক্রবার রাজভবনে নালিশ করেছিলেন তিনি। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর শোভন বলেন, ‘আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে উপড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কলেজ কারও অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা নয়। সরকারের আত্মসমালোচনা করা উচিত। রাজ্যপাল সহানুভূতির সঙ্গে গোটা বিষয়টি শুনেছেন।’

আর তারপরেই আজ রামমোহন কলেজে বদলি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, যে পদ তিনি নিজেই ছেড়ে দিয়েছিলেন সেখান থেকে তাকে বদলি করার কোনও মানে হয় না। ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তাঁর সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি যা বলার রাজ্যপালকে বলেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। এর জন্য প্রয়োজনে আইনি লড়াই লড়তে প্রস্তুত তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *