আমাদের ভারত, ৪ অক্টোবর:
তিনি প্রথমে শিক্ষক তারপর রাজনীতিবিদ। তাই রাজনীতির পরিসরে থেকে যখনই কোনও শিক্ষাঙ্গনে যাওয়ার সুযোগ হয় তাঁর তখনই শিক্ষক সত্ত্বাটা তাঁকে টানে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে রীতিমতো ক্লাস নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর পড়ুয়াও তাঁর ডিটেক্ট করা নোট নিলো অতি উৎসাহে।
সুকান্ত মজুমদার একজন অধ্যাপক। তিনি বোটানির অধ্যাপক, এই বিষয়ে তিনি গবেষণাও করেছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ক্লাস নিতে শুরু করে দেন তিনি।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বংশীহারীর একলব্য মডেল স্কুলে পরিদর্শনে যান সুকান্ত মজুমদার। স্কুলের পরিকাঠামো, পাঠন, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার গতি কিরকম সবকিছুই খতিয়ে দেখেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর সকালে জেলায় ফিরেছেন সংসদ। সকালে বালুরঘাটে কর্মসূচি সেরে যান বংশীহারিতে। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। নিজের পছন্দের বিষয় নিয়েও কথা বলেন। শেষে সালোকসংশ্লেষ নিয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট পড়ুয়াদের ক্লাস নেন। স্মার্টবোর্ড ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক বিক্রিয়া কিভাবে হয় তার ব্যাখ্যা করেন। দীর্ঘদিন অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকা সুকান্ত মজুমদার প্রিয় বিষয়ে ক্লাস নিতে পেরে খুব খুশি।
সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আমি রাজনীতিবিদের আগে একজন শিক্ষক। আজ ক্লাস নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ব্ল্যাক বোর্ড, চক দেখলে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে। আর বেসিক্যালি আমি তো শিক্ষক আর যে শিক্ষকের চক ডাস্টার ব্ল্যাকবোর্ড দেখেও ক্লাস করার ইচ্ছে করে না, তাহলে তার শিক্ষকতা ডিএনএ নিয়ে সন্দেহ হওয়া উচিত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ক্লাস করতে পেরে খুশি ছাত্র-ছাত্রীরাও। তারাও বাধ্য ছাত্রের মতো কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যেমন দেন তেমনি মন্ত্রীর বলা নোট খাতায় লিখতে দেখা যায় তাদের।