আমাদের ভারত, ৪ সেপ্টেম্বর: সম্প্রতি মনোজ পন্থকে রাজ্যের মুখ্যসচিব করেছে রাজ্য সরকার। দুই সিনিয়র আইএএস আধিকারিক-সহ ৭ জনকে বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিষয়টি নিয়ে এক্স-বার্তায় কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, এরকম কাজে দ্বিচারিতার জন্য ভণ্ডামি প্রকাশ পেয়েছে।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “গত ৩১ অগাস্ট নবান্নে নতুন মুখ্য সচিব নিয়োগের বিষয়ে পুরো আমলাতন্ত্রের সাথে একটি উদ্ভট নাটক খেলা হয়েছিলো। তৎকালীন অর্থ সচিব মনোজ পন্থকে ৩০ তারিখ সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিলো। একটি রহস্যজনক হস্তক্ষেপে মুখ্য সচিব নিযুক্ত হলেন। তিনি ২টি ব্যাচের ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে এই দায়িত্ব পেলেন।
এঁদের একজন ১৯৮৯ ব্যাচের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মর্যাদার অত্রি ভট্টাচার্য এবং ১৯৯০ ব্যাচের সুব্রত গুপ্ত। এঁরাও অন্যদের সঙ্গে বাদ পড়েছিলেন। বহু বছর পর আইএএস-এর জাতীয় শীর্ষস্থানীয় সুব্রত গুপ্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের শীর্ষে আসতে পারতেন।
তাই যে মুখ্যমন্ত্রী বাঙালিদের সব কিছুর জন্য একজন নকল ‘পরিত্রাতা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, যিনি প্রায়শই অবাঙালিদের লাঞ্ছিত করার নাটক করেন, তিনি স্বেচ্ছায় মুখ্য সচিব পদে নিয়োগের জন্য ২জন যোগ্য সিনিয়র বাঙালি আইএএস অফিসারকে বঞ্চিত করেছেন।
পুনশ্চঃ- আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে কোনও পদে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় বিচার্য বিষয়, শুধুমাত্র একটি মাপকাঠির উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত- যোগ্যতা। কিন্তু যাঁরা নিজেদের সুবিধামতো আঞ্চলিকতার তাস খেলেন, তাঁদের বুঝতে হবে যে তাঁদের ভণ্ডামি প্রায়ই প্রকাশ পায় তাঁদের দ্বিচারিতার জন্য।”