আমাদের ভারত,১ ডিসেম্বর:হায়দ্রাবাদের পশু চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণকাণ্ডে চারজনকে জেরা করে উঠে এল একাধিক তথ্য। মহম্মদ আরিফ,নবীন,শিবা, চিন্তাকুন্তাকে লাগাতার জেরা করে পুলিশ। জেরায় তারা স্বীকার করেছে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল ওই পশুচিকিৎসক প্রিয়াঙ্কাকে।
অসহায় অবস্থায় সাহায্যের জন্য লাগাতার আর্তনাদ করেছিল ওই চিকিৎসক। কিন্তু ফাঁকা জায়গায় তাকে সাহায্য করার মত কেউ ছিলনা। আর তখনই তাকে নাক মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করে নরপিশাচ ওই ধর্ষকরা।এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তার শবদেহ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে তারা।
ধৃতরা জানিয়েছে রাত সাড়ে নটা থেকে দশটার মধ্যে তারা এই দুষ্কর্ম সেরেছে। প্রিয়াঙ্কাকে টোল প্লাজার কাছে স্কুটি রাখতে দেখেই তারা দুষ্কর্মের ছক কষে তারা। স্কুটির টায়ার পাংচার করে দেয় তারা। ট্রাকচালক আরিফ ও হেল্পার শিবা চিকিৎসককে স্কুটি ঠিক করে দেওয়ার নাম করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। তারপরই চারজন মিলে নৃশংস অত্যাচার চালায় প্রিয়াঙ্কার ওপর। সাহায্যের জন্য চিৎকার করে চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা। তাতেই সম্ভবত কিছুটা ভয় পায় দুর্বৃত্তরা। তখনই তাদের মধ্যে একজন পশুচিকিৎসকের নাক মুখ চেপে ধরে। মৃত্যু হয় চিকিৎসকের।
এরপরে মৃতদেহ একটি ট্রাকে করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় ঐ চারজন। যাওয়ার সময় পেট্রল পাম্প থেকে খানিকটা পেট্রোল নেয় তারা। সেই পেট্রোল ঢেলে চিকিৎসকের দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল তারা।
স্থানীয় মানুষের বয়ান ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই চারজনকে আটক করে পুলিশ। জেরায় ওই চারজনের মুখে গোটা ঘটনার বিবরণ শুনে অবাক হয়ে গেছে পুলিশকর্তারা। চূড়ান্ত নৃশংসতা বলতে যা বোঝায় তাই ঘটেছিল সেই রাতে।
প্রিয়াংকার মা ওই চারজনকে প্রকাশ্য রাস্তায় জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। দোষীদের দ্রুত এবং সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার দাবিতেরাস্তায় নেমেছেন বহু মানুষ। অন্যদিকে এই ঘটনায় নাড়িয়ে দিয়েছে হায়দ্রাবাদের প্রশাসনকে। নিখোঁজ ডায়েরি নিতে টালবাহানা করার জন্য একজন এসআইসহ ৩ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অভিযোগ দায়ের করার সময় এই ঘটনা কোন থানার অন্তর্গত তা নিয়ে টালবাহানা করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসতে নির্যাতিতার বাড়ির লোক পুলিশের বিরুদ্ধেও হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিল। ডিউটি চলাকালীন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মীরা। বিভাগীয় তদন্তের পর তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।