আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৮ অক্টোবর:
আবারও মানুয়া কান্ডের ছাপ গাইঘাটায়, স্বামীর দেহ উদ্ধার করা হল প্রেমিকের খাটের নীচের মাটি খুঁড়ে। মৃত ব্যক্তির নাম রামকৃষ্ণ সরকার। কোচবিহারের বানেশ্বর পুর এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। বিয়ের পর উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁর বাবুপাড়া স্বামী রামকৃষ্ণ সরকার ও স্ত্রী স্বপ্না সরকার ভাড়া থাকত। বুধবার দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার গোয়ালবাতান এলাকায় সুজিত দাসের বাড়ির সামনে রক্তের দাগ। তা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের, বিষয়টি পুলিশের নজরে আনে সকলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে গোয়ালবাথান এলাকার একটি পুকুর পাড়ে প্রথমে রক্ত দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় গাইঘাটা থানায়। পুলিশ এবং স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করে বাঁশ বাগান থেকে এক জোড়া জুতো, টর্চলাইট উদ্ধার করে। পরে বুধবার সকালে গোয়ালবাথান এলাকার বাসিন্দা সুজিত দাসের বাড়ির সামনে রক্ত দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। সুজিতের বাড়ির তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায় খাটের নীচ খোড়া রয়েছে। সন্দেহ হয় যে, এখানেই কাউকে খুন করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে বুধবার দুপুর নাগাদ মাটি খুঁড়ে এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রামকৃষ্ণ সরকার। কোচবিহারের বানেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রামকৃষ্ণের স্ত্রী সপ্না সরকারের সঙ্গে সুজিতের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার করতে সুজিত ও স্বপ্না তার স্বামীকে খুন করেছে এবং সুজিতের বাড়ির খাটের নীচের মাটি খুঁড়ে পুঁতে রেখেছিল স্বামী রামকৃষ্ণের দেহ। স্বপ্নাকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।