আমাদের ভারত, ২১ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের হিংসার সময় এক পরিবারের টাকা ও সোনার গয়না লুট করে এবং তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ইসলামিক স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে হিন্দুদের।
এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে আক্রান্ত পরিবারের একটি ভিডিও শেয়ার করে অমিত মালব্য বলেছেন, মেয়ের বিয়ের জন্য ৭ লক্ষ টাকা এবং চিকিৎসার জন্য চার লক্ষ টাকা জমানো ছিল। স্বামীকে আটকে রেখে ঘরে সমস্ত টাকা ও সোনার গয়না লুট করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় তোমার স্বামীকে চাও, নাকি টাকা? এরপর তাদের পুরো বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এটাই মুর্শিদাবাদের আসল চিত্র।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও মুর্শিদাবাদে অশান্তির সময় একাধিক অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, হিন্দুদের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে ইসলামিক ধর্মীয় স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এনআইকে তিনি জানান, এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সেদিন ঘটেছে। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়ে ইসলামিক ধর্মীয় স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাজ্যের অন্যান্য অংশে বসবাসকারী অন্যান্য হিন্দুদের ভবিষ্যৎ এমনই হবে, যারা মনে করেন এই সমস্যাটি কেবল মুর্শিদাবাদেই সীমাবদ্ধ। আমি কলকাতায় তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাই।
ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে ১১ এপ্রিল থেকে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ মুর্শিদাবাদ জেলায় হিংসা শুরু হয়। ঘটনায় দু’জনকে কুপিয়ে খুন করা হয়। ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাজার হাজার হিন্দু বাড়ি ছেড়ে পালায়। মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি সহ অন্যান্য জেলাতেও এই আইনের প্রতিবাদে অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। হিংসার ঘটনায় যেসব হিন্দু পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে তারা কেউ ঝাড়খণ্ডের পাকুরে, কেউ মালদার ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন।