আমাদের ভারত, ২৯ অক্টোবর, আউশগ্রাম: মদ্যপানের প্রতিবাদ করেছিল স্ত্রী। তাই স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার পূর্বতটী গ্রামের এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম ভৈরবী আঁকুড়ে(৪০)। পূর্বতটী গ্রামেই তার বাপেরবাড়ি। বুধবার রাতে ভৈরবীদেবীকে মেরে চম্পট দেয় তার স্বামী বুধন আঁকুড়ে। এদিন বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তার হদিস মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বতটী গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা বুধন আঁকুড়ের সঙ্গে ওই গ্রামেরই মাঝেরপাড়ার মেয়ে ভৈরবীর বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। বুধবার রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরলে ভৈরবী রেগে গিয়ে দু কথা শুনিয়ে দেয়। যা শুনে প্রচন্ড রাগে ভারী বস্তু দিয়ে ভৈরবীর মাথায় আঘাত করে বুধন। রাতেই গুরুতর জখম অবস্থায় ভৈরবীকে বননবগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ভোররাতে ভৈরবীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত বধূর ভাই ভৈরব আঁকুড়ের অভিযোগ, মদ খেয়ে এসে তার দিদিকে প্রায়ই মারধর করত জামাইবাবু বুধন। বুধবার রাতে একই অবস্থায় বাড়ি ফেরার পর ভৈরবীদেবী প্রতিবাদ করলে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এদিন ভৈরবীর মৃত্যু হয়। এরপরই ভৈরবীর পরিবারের তরফে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ।