আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৮ নভেম্বর:
ধারলো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার আলতাপুর গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম রুমা দাস (৩০)। স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামী মনেস দাসকে গ্রেপ্তার করেছে করণদিঘি থানার পুলিশ। রুমার মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, করণদিঘি থানার আলতাপুর গ্রামের বাসিন্দা মনেস দাসের সাথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের মঙ্গলপুরের বাসিন্দা রুমার ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর ঠিকঠাক সংসার করে রুমা ও মনেস। রুমা ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জন্ম দেয়। বিগত কয়েক বছর ধরে স্বামী মনেস তার শ্বশুরবাড়ির থেকে টাকাপয়সা আনার জন্য রুমাকে চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ। রুমা তার বাড়ির থেকে কয়েকবার টাকা এনে দিয়েছে স্বামী মনেসকে। তারপরেও রুমার সাথে মনেসের প্রায়ই ঝামেলা হত। গতকাল রাতে রুমা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার সকালে রুমা বাথরুম করতে গেলে স্বামী মনেস তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায় রুমা। রুমার ছেলে মেয়ের চিৎকার শুনে গ্রামের মানুষ ছুটে এসে দেখে রুমা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। এরপর গ্রামবাসীরা করণদিঘি থানার পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে করণদিঘি থানার পুলিশ। স্ত্রী রুমাকে খুনের ঘটনায় মনেসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। তবে কি কারণে রুমাকে খুন করলো মনেস তা তদন্ত করছে পুলিশ।
মৃত রুমার দাদা জনার্দন সরকার জানিয়েছেন, আমার বোনকে যে খুন করেছে তার উপযুক্ত শান্তির দাবি জানাচ্ছি।