স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে গিয়ে বঁটির কোপ খেলেন স্বামী

আমাদের ভারত, কেতুগ্রাম, ১৫ নভেম্বর : মাস দুয়েক কাজের সুবাদে বাইরে ছিলেন স্বামী। তার মধ্যে বাপের বাড়িতে থাকাকালীন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে গিয়ে বঁটির কোপ খেলেন স্বামী। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার নিরোল গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় আহত কৃষ্ণ দাস(২৭)। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতের বাবা মন্টু দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কৃষ্ণর স্ত্রী পূর্ণিমা দাস সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বাকিরা জয়দেব দাস ও রঞ্জিত দাস। রঞ্জিত পূর্ণিমা দেবীর ভাই। জয়দেবের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে পূর্ণিমা নিজেই জানান পুলিশের কাছে।আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

কেতুগ্রামের ধাদলসা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক মন্টু দাসের বড় ছেলে কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে নিরোল গ্রামের বাসিন্দা সুফল দাসের মেয়ে পূর্ণিমার প্রায় তিনবছর আগে বিয়ে হয়। মন্টুবাবু জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর একমাস আগে তার ছেলে কৃষ্ণ বাইরে কাজে গিয়েছিলেন। মাস দুয়েক সেখানে থাকার পর বাড়ি আসেন। স্বামী বাইরে কাজে যাওয়ার পরেই পূর্ণিমাদেবী নিরোলে বাপের বাড়ি চলে যান।

মন্টুবাবাবু জানান, ”কৃষ্ণ বাড়ি ফেরার পর গত মঙ্গলবার নিরোল গ্রামে শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে গেলে বউমা ঝগড়াঝাটি করে। ওইদিন কৃষ্ণ বাড়ি চলে আসে। তারপর ফের বৃহস্পতিবার সকালে নিরোলে যায়। মন্টুবাবু বলেন, ঘন্টাতিনেক পর ফোন আসে কৃষ্ণ রক্তাক্ত বস্থায় পড়ে রয়েছে। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নিরোলে গিয়ে দেখি শ্বশুরবাড়ির সামনেই রক্তাক্তবস্থায় ছেলে পড়ে ছিল। ওর মুখেই জানতে পারি পূর্ণিমা, রঞ্জিত ও জয়দেব তিনজন মিলে ওকে মারধর করে। তারপর বউমা একটি বটি দিয়ে কৃষ্ণকে কোপ মারে। বাঁ হাতে লাগে। বৃহস্পতিবার রাতে মন্টুবাবু তার ছেলের শ্বশুর সুফল সহ চারজনের বিরুদ্ধে
এফআইআর দায়ের করেন মন্টু দাস। তিনজন ধরা পড়ে। সুফল ফেরার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *