আমাদের ভারত, হাওড়া, ৩০ ডিসেম্বর: বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে না পারায় এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগনান থানার শীতলপুরে। মৃত গৃহবধূর নাম ঋতুপর্ণা রায় চৌধুরী (২৬)। ঘটনায় মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বাগনান থানার পুলিশ মৃত গৃহবধূর স্বামী সুমন্ত রায়কে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে সোমবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানাগেছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাগনান থানার বৃন্দাবনপুরের বাসিন্দা ঋতুপর্ণা রায়চৌধুরীর সঙ্গে বাগনান থানার শীতলপুরের বাসিন্দা সুমন্তর বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের সময় ছেলের বাড়ির দাবি মত টাকা পয়সার দিলেও কয়েক মাস পর থেকেই আরো টাকার দাবি করতে থাকে ঋতুপর্ণার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, মেয়ের শান্তির জন্য টাকা-পয়সা দেওয়া হলেও ছেলের বাড়ির চাহিদা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এমনকি মেহের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নিজেদের জায়গায় জামাইকে একটি ওষুধের দোকান করে দেয়। তাদের অভিযোগ, এর পরেও পুনরায় টাকা দাবি করতে থাকে ঋতুপর্ণা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যদিও ঋতুপর্ণার বাবা সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর নেওয়া মেয়ের শ্বশুরবাড়ি দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে।
মৃত গৃহবধূর বাবা কনক রঞ্জন রায় চৌধুরী অভিযোগ করেন, রবিবার দুপুরে জামাই ফোনে জানায় ঋতুপর্ণা অসুস্থ অবস্থায় বাগনানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। পরে আমরা নার্সিংহোমে গিয়ে মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। তাঁর অভিযোগ, ঋতুপর্ণার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে। যদিও এদিন সুমন্ত নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।