রাজেন রায়, কলকাতা, ২৩ আগস্ট: সহকর্মীর ফোন এলে তার স্ত্রী সমস্ত কিছু ভুলে ওই যুবকের সঙ্গে গল্পে মত্ত হয়ে যেতেন। এদিকে তাকে নিয়ে বারবার প্রশ্ন করলে উত্তর দিতেন না স্ত্রী। এমনকি হাসপাতালে গিয়ে স্ত্রীর সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও ওই যুবকও তাঁকে বারবার এড়িয়ে যেতেন। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিরক্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চসায়রের ক্যানসার হাসপাতালে ঢুকে স্ত্রীর সহকর্মীকে সন্দেহ করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দিল এক মহিলার স্বামী। এই ঘটনার পর লক্ষ্মণ মণ্ডল নামে ওই অভিযুক্ত যুবকের খুনের চেষ্টার অভিযোগ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিযুক্ত লক্ষ্মণ মণ্ডলের স্ত্রী পঞ্চসায়র ক্যান্সার হাসপাতালের কর্মী হিসেবে কাজ করেন। অভিযুক্ত লক্ষণের অভিযোগ, হাসপাতালেই ৪৫ বছর বয়সী রঞ্জিত কোঙার নামে এক যুবক তার স্ত্রীকে অত্যাধিক মাত্রায় ফোন করতেন। সম্প্রতি তার প্রতি তার স্ত্রীর আচরণ বদলে যাচ্ছিল। তার মনে হয়, সহকর্মী রঞ্জিত কোঙারের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে তার স্ত্রী। অথবা রঞ্জিত তার স্ত্রীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও এর আগে কথা বলতে চাইলে রঞ্জিত তাকে পাত্তা দেয়নি।
তাই এই নিয়ে একটা চূড়ান্ত ফয়সালা করতে শনিবার সন্ধ্যায় সে সটান ওই হাসপাতালে হাজির হয়। কিন্তু এবারও ফের কথা বলার চেষ্টা করলে কোন পাত্তা না দিয়ে হাসপাতালে সুপারের ঘরে ঢুকে যায় রঞ্জিত। তার পরেই সোজা পেছনে গিয়ে রঞ্জিত কে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে লক্ষণ। আর্তনাদ শুনে হাসপাতালের কর্মীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তমাখা খুর হাতে সুপারের ঘর থেকে বেরিয়ে লক্ষণ পালানোর চেষ্টা করছে। আর সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রঞ্জিত। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয় আর আহত রঞ্জিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপরেই অভিযুক্ত লক্ষণ কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন লক্ষণের স্ত্রী ও। স্বামীর এই কীর্তিতে তা রীতিমতো হতচকিত হয়ে যান তিনি ও।

