সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ৩ জুন: ওড়িশার বালেশ্বরের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের এক মহিলার খোঁজ মিললেও নিখোঁজ রয়েছেন তাঁর ৯ বছরের ছেলে ও ভাই। চিকিৎসার জন্য ভেলোরে গিয়েছিলেন হুড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা দশ বছরের ছেলে সুমনকে নিয়ে মা অর্চনা পাল। তাঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন অর্চনার ভাই সঞ্জয় পাল।
পরিবারের লোকজন জানান, ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তাঁরা। দুর্ঘটনায় আহত অর্চনা পালের সাথে পরিবারের যোগাযোগ হলেও তাঁর ছেলে সুমন ও ভাই সঞ্জয় পালের সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করা যায়নি বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্চনার শাশুড়ি কাদু পাল। গোটা পরিবার শোকাচ্ছন্ন রয়েছে। প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিতে ওই পরিবারের পাশে রয়েছেন। সরকারিভাবে কোনও তথ্য দিতে পারেনি জেলা প্রশাসন, রেল এবং পুলিশ।
স্থানীয়ভাবে জানা গিয়েছে, বান্দোয়ান ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের ৮ জন ট্রেন যাত্রী অক্ষত অবস্থায় রয়েছেন। তাঁরা ইঞ্জিনের দিকে জেনারেল কামরায় ছিলেন। এছাড়া রঘুনাথপুর, বাঘমুন্ডি ব্লকেরও কয়েকজন দুর্ঘটনায় কম বেশি আহত হন। ঘটনার পর থেকে উদ্বিগ্ন রয়েছে পরিবারগুলি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যার যোগাযোগ নম্বর ০৩২৫২ ২২৩৬৭৫।
ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরেই দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে আদ্রা ডিভিশনের পুরুলিয়া স্টেশনে জিআরপির পক্ষ থেকে একটি পুলিশি সহায়তা শিবির খোলা হয়। স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ১৮জন ওই ট্রেনের মধ্যে ছিল বলে জানাগেছে। বান্দোয়ান, বাঘমুন্ডি, হুড়া এবং রঘুনাথপুর এলাকা থেকে তারা ছিল বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পুরুলিয়া জিআরপি থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বালেশ্বরের ঘটনায় যদি কোনো যাত্রীর পরিবার সহায়তার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সমস্ত রকম সহায়তা করার জন্য পুলিশি সহায়তা শিবির খোলা রয়েছে।