রাজেন রায়, কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর: যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতায় ই-পাসের ব্যবস্থা করে উলটে ভয়ঙ্কর প্যাঁচে পড়ে গিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষই। আগে থেকে ই-পাস সমস্ত বুকিং করেও মেট্রো সফরে আসছেন না ৪০ শতাংশের বেশি যাত্রী। আর তাদের বুকিং থাকায় যাদের সত্যি প্রয়োজন, এমন অনেক যাত্রী ই-পাস না পেয়ে মেট্রোয় ঢুকতে পারছেন না। ফলে মাত্র ৭ দিনেই বিপুল আর্থিক সম্মুখীন হতে হয়েছে কলকাতা মেট্রোকে। তাই এবার আসন সংখ্যা নির্দিষ্ট রেখেও ই-পাসের স্লট বুকিংয়ের সংখ্যা বাড়াল মেট্রো। সোমবার রাত থেকেই মঙ্গলবারের জন্য এই ধরনের অতিরিক্ত বুকিং নেওয়া হচ্ছে।
মেট্রো কর্তাদের দাবি, বাস্তব পরিস্থিতি খাতিরে তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকার পর কিছুটা আর্থিক ক্ষতি হবে তা ধরেই নিয়েছিলেন কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। স্মার্ট কার্ড থাকলেই সাধারণ মানুষ যাতে হুড়োহুড়ি করে ঢুকে না পড়েন, তার জন্য নিজস্ব ই-পাসের ব্যবস্থা করেছিল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেন চালাতে হলে রেক প্রতি ৪০০ জনের বেশি যাত্রীকে সফর করতে দেওয়া যাবে না। এখন কলকাতা মেট্রোর প্রত্যেক রেকে ৮টি করে কামরা রয়েছে। সেই হিসাবে ঠিক হয়েছিল প্রতি কামরায় ৫০জন করে যাত্রী এবং গোটা ট্রেনে থাকবে ৪০০ জন যাত্রী। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ই-পাসে বুক হয়েও যাত্রী সংখ্যা রেক প্রতি ২০০-ও ছাড়াচ্ছে না। খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায়, এর মূলে রয়েছে ই-়পাসের ফলস বুকিং।
তাই সম্ভাবনার খাতিরে কিছুটা অতিরিক্ত বুকিং নেওয়া শুরু করল মেট্রো। সোমবার রাত ৮টা থেকে যে বুকিং স্লট শুরু হবে তাতে ই-পাসের সংখ্যা ৪০০ থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৫০০। অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় থাকছে ২০০০ থেকে ৩০০০ ই-পাস বুকিংয়ের সুবিধা। ফলে কিছু যাত্রী তাদের সফর বাতিল করলেও কিছু যাত্রী আসার সম্ভাবনা বাড়বে। সব মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতি কমবে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষেরও।