কুমারগ্রামে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ, কড়া নজরদারি শুরু বনদফতরের

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৪ সেপ্টেম্বর:
বিপুল পরিমান চোরাই কাঠ উদ্ধার করলো বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা। গত তিন বছরের সবচেয়ে বড় অভিযানে নেমে বাঘ বনের কুমারগ্রাম ব্লকের সংকোশ চা-বাগান ও সংলগ্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর বোঝাই করে উদ্ধার হওয়া কাঠ রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। টাকার অঙ্কে চোরাই কাঠের বাজার মূল্য কত তার বিশ্লেষণ শুরু করেছে বনদপ্তর।

জানা গেছে, অসম–বাংলা সীমানার কুমারগ্রাম ব্লকের সঙ্কোশ চা-বাগান, চৌধুরীঘাট, জলদাপাড়া ঘাট, সঙ্কোষ বনবস্তী এলাকায় অভিযান চলে। কুমারগ্রাম, হাতিপোতা, নর্থ রায়ডাক, ভল্কা সহ মোট ৬ টি রেঞ্জের ৬ জন রেঞ্জ অফিসার সহ ১২ জন অফিসার অভিযানে ছিলেন। পুলিসের একটি দল উপস্তিত ছিল। ছিল এসএসবি। কিছুদিন পূর্বে এক কাঠ মাফিয়া গ্রেপ্তার হয় বনকর্মীদের জালে। তাকে জেরা করে আসাম-বাংলা কাঠ মাফিয়া চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসে বনদপ্তরের। অসমের দিকে নির্বিচারে জঙ্গল নিধন চলছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব আসছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে।কারন সংকোশ নদীর ওপারেই আসামের জঙ্গল।আসাম ও বাংলার কাঠমাফিয়াদের নিবিড় যোগাযোগ থাকে বছরভর। সেই সূত্র অনুযায়ী অভিযান চালানো হয়।
কাঠ উদ্ধার করতে গিয়ে আশ্চর্য হয়ে গেছেন বনদপ্তরের অফিসাররা। দেখা গেছে, বনবস্তী এলাকায় বিভিন্ন বাড়ির সামনে ঢাউস করে কাঠের লগ ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনও দাবিদার নেই।
পুলিস, এসএসবি সহ গোটা অভিযানে বনকর্মীরা ৪টি পৃথক দলে ভাগ হয়ে কাজ করেছে। পি হরিশ বলেন, প্রচুর বিভিন্ন প্রজাতির মুল্যবান কাঠ উদ্ধার হয়েছে। অভিযান চলবে আগামী দিনগুলিতে। উল্লেখ্য, নির্বিচারে জঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে কুমারগ্রাম ব্লকের সঙ্কোষ এলাকায়। কাঠমাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে কুমারগ্রামের বনবস্তীর একাংশ।

ছবি: অভ্যানে বেরোনোর মুহূর্তের ছবি।
বক্সায় আচমকাই বড় অভিযান থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধীকর্তা (পূর্ব) পি হরিশ বলেন, অসমের দিক থেকে জঙ্গলের কাঠ কেটে মূল্যবান কাঠের গুড়ি সংকোশ নদীর জলে ভাসিয়ে বাংলার দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।নদীর দুদিকেই দিনে রাতে নজর রাখে দুষ্কৃতিরা। একইভাবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আসাম–বাংলা সীমানা এলাকায় গভীর জঙ্গলেও কাঠ মাফিয়ারা সক্রিয় রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা নর্থরায়ডাক ও কুমারগ্রাম রেঞ্জ এলাকায় একজন এডিএফও পদমর্যাদার আধিকারিক আপাতত স্থায়ী ভাবে রাখছি। বিশেষ পেট্রোলিং-এর জন্য দুটি গাড়ি থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *