আমাদের ভারত, হাওড়া, ২২ মার্চ: জনতার কারফিউয়ে কার্যত শুনশান হাওড়া শহরের বিভিন্ন প্রান্ত, দোকান বাজার অধিকাংশ বন্ধ। অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আজ হাওড়া স্টেশনে সিল করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত গেট। তবে ১ নম্বর গেট খুলে রাখা হয়েছে সাধারণ কর্মী এবং যাত্রীদের আনাগোনার জন্য। হাওড়া ব্রিজ বন্ধের চেহারা চেহারা নিয়েছে, চলছে না গাড়িঘোড়া। হাওড়া ফেরিঘাট এবং শিল্প অঞ্চল বন্ধ। তবে আজ মুম্বই থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফেরত এসেছে এরাজ্যে বহু মানুষ। তাদের সুরক্ষিতভাবে, রাজ্য সরকারের দেওয়া সরকারি বাসে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের গন্তব্যস্থলে। তার আগে তাদের মাস্ক দিয়ে এবং হ্যান্ড সেনেটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে বাসে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে।
আজ সকালে ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের যখন মুম্বাই থেকে আসা স্পেশাল ট্রেন ঢোকে তখন সাধারণ যাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি স্টেশন চত্বরে।
অবস্থা দেখে মনে হওয়া স্বাভাবিক, আতঙ্ক ছড়ানো বা মানুষকে ভয় ভীত করার জন্য নয় নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে–তা বুঝেছে। তাই করোনাভাইরাস থেকে নিজেদের এবং নিজের পরিবারের সুরক্ষার জন্যই সর্তকতা অবলম্বন করা প্রধান কাজ। অনেকের বক্তব্য, জনতা কারফিউ স্বতস্ফূর্তভাবে মেনে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। তাদের বক্তব্য, আমরা বুঝতে পেরেছি এই মানব চেন কাটতে পারলে বাঁচা যেতে পারে করোনাভাইরাস থেকে।