যৌন চাহিদা কিভাবে মেটান? ভিসার জন্য পাক হাই কমিশনে গিয়ে হেনস্থা হবার অভিযোগ ভারতীয় অধ্যপিকার

আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি: ভিসার জন্য পাক হাই কমিশনে গিয়ে চুড়ান্ত হেনস্থার শিকার হলেন এক ভারতীয় মহিলা। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। তাঁর অভিযোগ পাক দূতাবাসের দুই আধিকারিক তার কাছে ভিসা দেওয়ার পরিবর্তে আপত্তিকর দাবি জানিয়েছিল। ভিসা দেওয়ার পরিবর্তে তাকে কুরুচিকর প্রস্তাব দেয় পাক দূতাবাসের দুই আধিকারিক বলে অভিযোগ।

জাতীয় স্তরের একাধিক সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই অধ্যাপিকা বলেন, ওই দুই আধিকারিক তার ধর্ম সম্পর্কে জানতে চান। পাকিস্তানের ওই অভিযুক্ত দুই-আধিকারীদের নাম তাহির আব্বাস ও আসিফ। ওই মহিলা জানান, ভিসা পাওয়ার জন্য পাক হাই কমিশনে ২০২২ -এর মার্চ মাসে তার একটি অ্যাপয়েটমেন্ট ছিল। সেখানে যাওয়ায় এক আধিকারিক তার কাছে জানতে চান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সম্পর্কে ওই মহিলার কি মত? ওই মহিলা চাইলে আরো অন্যান্য মহিলার মত তাকেও সে বিয়ে করতে পারে।

ওই মহিলা জানান, “এরপরই এক অধিকারিক আমার হাত ধরে। আমি হাত ছাড়িয়ে দিয়ে বলি আমি এখুনি এখান চলে যেতে চাই। তখনই আরও একজন আধিকারিক আসেন। সেও আমাকে একই ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। তারা আমায় জিজ্ঞাসা করেন একজন পুরুষ ছাড়া জীবনযাপন করা কি সঠিক?”

অধ্যাপিকা বলেন, “তাদের মধ্যে এক আধিকারিক আমাকে জিজ্ঞাসা করেন আমি কেন বিবাহিত নই? বিয়ে না করে আমি কিভাবে আছি? আমি আমার যৌন ইচ্ছা কিভাবে পূরণ করি? এই সব প্রশ্ন শুনে আমি অস্বস্তিতে পড়ে যাই।”

এখানেই শেষ নয়, ওই মহিলা আরো জানান, এরপরেও ওই দুই আধিকারিক তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন এবং জানায় যদি তিনি পাকিস্তানে যান তাহলে সেখানে তার থাকার খরচ তারা বহন করবেন। এমনকি তাদের সাথে ওই মহিলা যদি এক রাত কাটান তাহলে ২৪ ঘন্টায় তারা ভিজা দিয়ে দেবেন।

অধ্যাপিকা বলেন, “ওই দুই পাক আধিকারিক আমাকে প্রমিস করেছিল যদি আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারত এবং কাশ্মীরের বিরুদ্ধে আর্টিকেল লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করি তার জন্য তারা আমাকে টাকা দেবেন। এই মেসেজ করার পরই তারা সেই মেসেজ ডিলিট করে দেন যদিও সেই মেসেজের স্ক্রিনশট আমি নিয়ে রেখেছি।”

তিনি জানান, এই বিষয়গুলি সম্পর্কে তিনি পাকিস্তান হাইকমিশনে অভিযোগ জানালেও কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই মহিলা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা হবার দরুন লাহোরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শিক্ষা মূলক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *