Rabindra sorabor, audit, লেকের আয়ের কতটা সংরক্ষণের কাজে লাগছে, তার অডিটের দাবি

আমাদের ভারত, কলকাতা, ৫ জুলাই: “রবীন্দ্র সরোবরের অন্যান্য প্রাচীন ক্লাবগুলির থেকে যে আয় হয় কেএমডিএ তার কতটা সংরক্ষণের কাজে লাগিয়েছে তার অডিট গত তিন বছর কেন হয়নি মানুষের জানা উচিত।”

রবীন্দ্র সরোবর সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ে কয়েকটি পরিবেশ সচেতন সংস্থা ও বেঙ্গল লিটেরারি ও কালচারাল অর্গানাইশনের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। সেখানে পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ এই দাবি তোলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে, হেরিটেজ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের কত টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে তারও একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট মানুষের দেখা দরকার।

এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পরিবেশবিদ সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মহানাগরিক জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রমুখ। ছিলেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সমীর বোস।

সোমেন্দ্রবাবু মহামান্য আদালতের বৃহস্পতিবারের একটি পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে বলেন, আদালত বলছেন যে সাধারণ জনগণের জন্য সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকের অধীন কোনও সংস্থাকে ব্যবসার কাজে ব্যবহার করার জন্য দেওয়া যায় না। কেএমডিএ সরোবরের সংরক্ষণের দায়িত্ত্বে যখন রয়েছে এভাবে জমি হস্তান্তর নিয়ম বিরুদ্ধ।

জিতেন্দ্রবাবু বলেন, সরোবর নিয়ে যে আবেগ দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে, সেটি মাথায় রেখে কেএমডিএর প্রধান ফিরহাদ হাকিমের উচিত একটি অডিটের ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে পরিবেশপ্রেমী মানুষকে কোনও দলীয় রাজনীতির অংশ হিসেবে যেন চিহ্নিত না করেন। কারণ তাঁর প্রথম পরিচয় হওয়া উচিত তিনি কলকাতার মেয়র এবং কলকাতাবাসী প্রত্যেক নাগরিকের ভাবাবেগকে তিনি যেন এভাবে আঘাত না করেন।

অন্য বক্তাদের মধ্যে সুমিতা বন্দোপাধ্যায়ও উল্লেখিত দুই বক্তার কথাকে সমর্থন করে বলেন, দুঃস্থ শিশুদের ক্রীড়া প্রশিক্ষণের জন্য সরোবর লাগোয়া স্টেডিয়ামটিকে অবিলম্বে খেলার উপযোগী করে তোলা হোক। দশ দিনের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বক্তাদের সকলেই অডিট রিপোর্টের জন্য মাননীয় মহানাগরিককে অনুরোধ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *