আমাদের ভারত, ৬ সেপ্টেম্বর: সরকারি দপ্তরে হিন্দু কর্মচারীর সংখ্যা কত? গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কেন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করল তা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবেই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে সরকারের তরফে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। সেই কারণে সে দেশের সংখ্যালঘু তথা প্রগতিশীলরা বেশ চিন্তিত।
অনেকের মতে এর উদ্দেশ্যে যাই হোক না কেন, এভাবে একটি বিশেষ কোনো ধর্মাবলম্বী মানুষকে চিহ্নিত করার নজির আগে কখনো বাংলাদেশে দেখা যায়নি। এমনকি উপমহাদেশেও এই ধরনের সরকারি চিঠির নজির নেই।
গত ২৯ আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরিষ্কার বাংলায় তাতে লেখা হয়েছে, ঢাকায় কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগ্ম সচিব সমমর্যাদা সম্পন্ন এবং তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাগণের নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সিনিয়র সহকারী সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গির আলমের ওই চিঠি নিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীল মহল চিন্তিত। তাদের বক্তব্য, এই ধরনের চিঠির উদ্দেশ্য কী? তা স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ছাত্র- জনতার যে বিপ্লবের পরে সংখ্যালঘুদের উপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তা ভয়াবহ নজিরবিহীন। ফলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে চিন্তা তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্ট নিন্দার ঝড় বয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো কেউ মুখ খোলেনি। ছাত্র ও গণ আন্দোলনের জেরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মুহূর্তে সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার চলছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে। অভিযোগ সরকারের বিরোধিতা শুনলেই দেশদ্রোহী তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধিতা করার সাহস দেখানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না কেউ। শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা জানতে চেয়েছে কেন?