আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৮ আগস্ট: সন্তান না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি। চিকিৎসা না করিয়ে শেষ পর্যন্ত তান্ত্রিকের কাছে যায় ওই গৃহবধূ। সেখানেই প্রতারণার শিকার হয় তিনি। এমনকি তন্ত্রসাধনা করবে বলে তারাপীঠে নিয়ে গিয়ে হোটেলে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে ওই তান্ত্রিক এমনই অভিযোগ গৃহবধূর। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার মছলন্দপুর ফাঁড়ির শিমুলপুর এলাকার। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়ার পর ওসি চিন্তামণি নস্কর অভিযুক্ত তান্ত্রিক সুমন হরিকে তার ডেরা থেকে গ্রেফতার করে।

মছলন্দপুর বেরগুম জানাপুল এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ। দীর্ঘ চার বছর আগে বিয়ে হয়। সন্তান না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে প্রায় ঝামেলা লেগেই থাকত। অভাবের সংসার চিকিৎসাও সেই ভাবে করাতে পারেনি। তাই প্রতিবেশীদের পরামর্শে তান্ত্রিক সুমন হরির কাছে যায়। দীর্ঘদিন ধরে তান্ত্রিকের বাড়িতে পুজো দিতে যায় ওই গৃহবধূ। তান্ত্রিক সুমন ওই গৃহবধূকে বলেন, তারাপীঠে গিয়ে তন্ত্রসাধনা করলে তোর কয়েক মাসের মধ্যেই সন্তান আসবে, স্বামীর সঙ্গে কোনও ঝামেলা থাকবে না, এমনকি প্রচুর অর্থের মালিক হবে তোর স্বামী। এমন কিছু কথা বলে তাঁকে ফাঁসিয়ে তারাপীঠ নিয়ে যায়। সেখানে একটি হোটে নিয়ে গিয়ে তান্ত্রিক বলে মদ খেয়ে তন্ত্রসাধনায় বসতে হবে। সেই বিশ্বাসে মদও খায় ওই গৃহবধূ। এরপর তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে খুনের হুমকি দেয়।

তারাপীঠ থেকে ফিরে এসেই তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে মছলন্দপুর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তান্ত্রিক সুমন হরি বলেন, আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর ওসি চিন্তমণি নস্কর ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে। ধৃতকে আজ বারাসত আদালতে তোলা হয়।

