সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৫ ডিসেম্বর: মেয়েদের ভালো ফুটবলার করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন এক আদিবাসী গৃহবধূ। সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে সেই গৃহবধূ এই তালিম দিয়ে চলেছেন।
আদিবাসী গৃহবধূ সামাজিক রীতিনীতি মেনে শাড়ি পরেই এই তালিম দিচ্ছেন। বাঁকুড়ার ছাতনার দুমদুমির ভারতী মুদি এই বিরল চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীদেবীর কথায়, ছোটবেলা থেকে তার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু মেয়ে হওয়ার জন্য তার ফুটবল খেলাটা হয়ে ওঠেনি।অধরা রয়ে গেছে তার ফুটবল খেলার স্বপ্ন। ভারতী দেবীর কথায়, তাই তিনি আদিবাসী মেয়েদের ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ দিয়ে সেই স্বপ্ন মেটাতে চাইছেন।মেয়েদের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে নেমেছেন। নিজের মেয়েকেও সামিল করেছেন এতে। ভারতীদেবীর কাছে ফুটবলের প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ তার মেয়ে একজন সফল রেফারি। এক ডজনেরও বেশি মেয়ে খেলেছেন রাজ্যস্তরে। অনেকে পেয়েছেন চাকরি।

মাঠে ফুটবল খেলায় রত একদল কিশোরী জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম দিকে বাড়ি থেকেও বাধা ছিল। এখন তারা খুব খুশি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা তারা ফুটবল খেলেছে। তারা খুব সমর্থন ও সম্মান পেয়েছেন।
তবে ভারতী দেবীর আক্ষেপ, মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে এখনও একটা অনীহা ও বাধা রয়েছে। তাছাড়া এখনও অধিকাংশ আদিবাসী মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ফুটবলের। প্রথমদিকে ভাল সাড়া পাননি তিনি, তবুও হাল ছাড়েননি।

