আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৯ এপ্রিল: ভবঘুরেদের দুবেলা অন্ন তুলে দিতে এবার পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ালেন এক গৃহবধূ। নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ভবঘুরেদের খাবার ব্যবস্থা করলেন তিনি। আর খাবার পরিবেশন করলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌমজিত বড়ুয়া।
যারা ট্রেন-বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে দু-পয়সা নিয়ে ক্ষুন্নিবৃত্তি করতেন, লকডাউনের ফলে তারা অসহায় হয়ে পড়েন। এই সমস্ত মানুষদের মুখে দুবেলা অন্ন তুলে দিতে এগিয়ে আসেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্যজিত বড়ুয়া। ওই সমস্ত ভবঘুরেদের মুখে দুবেলা অন্ন তুলে দিতে দায়িত্ব দেন বীরভূম জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং রামপুরহাট প্রেসক্লাবের কাঁধে। সাংবাদিকরা সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে ১৪ দিন ধরে অন্ন সংস্থান করে চলেছেন। এই উদ্যোগে বুধবার সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ান রামপুরহাট ধুলোডাঙ্গা রোডের বাসিন্দা, নিপাট গৃহবধূ কৃষ্ণা ঘোষ। প্রচার বিমুখ ওই গৃহবধূ তিল তিল করে তার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে তিনদিন ভবঘুরেদের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
তাঁর ইচ্ছেতেই এদিনের দুপুরের মেনুতে ছিল পনিরের সবজি, ডাল ও চাটনি। শুধু অর্থ দিয়ে নয়, স্বামী বলরাম ঘোষের সঙ্গে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে পরিবেশনও করেছেন তিনি। পরিবেশন করেছেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্যজিত বড়ুয়াও। শুধু একার প্রচেষ্টায় এই মহৎ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে তা নয়। এই কাজে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনলাইন ওষুধ ব্যবসায়ী সজল দত্ত, সাঁকিরপুর যুবক বৃন্দ, রামপুরহাট বস্ত্র ব্যবসায়ী, মাসজিদুল মুক্কাদ্দাস মসজিদ কমিটি, রামপুরহাট লজ ব্যবসায়ী, সাংবাদিক নন্দন দত্ত, আইনজীবী বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়, ব্যবসায়ী উজ্জ্বল সরকার, শেখ বরকতুল্লাহ, আনন্দময় মজুমদার, দিলিপ কাপুরি সহ অনেকে।
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বলেন, “যতদিন লকডাউন চলবে, ততদিন আমদের এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সমস্ত রকম সহযোগিতা আমরা করে যাব”। তবে এনিয়ে কিছু বলতে চাননি গৃহবধূ কৃষ্ণ ঘোষ।