মিলন খামারিয়ার, আমাদের ভারত, ১২ জুলাই:শনিবার সিকিমের হর্টিকালচার কলেজের কুড়িজন ছাত্রকে নিয়ে দুইজন শিক্ষক সর্ব ভারতীয় স্টাডি ট্যুরের অঙ্গ হিসাবে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ICAR-AICRP on Fruits-এর জন্য নির্ধারিত ফার্ম মণ্ডৌরীতে এলেন৷ দক্ষিণ সিকিমের নামচাই (Namchai) ব্লকের অন্তর্ভুক্ত বার্মিয়ক (Bermiok)-এ এই কলেজ অবস্থিত। এই কলেজ পরিচালিত হয় ইম্ফলে অবস্থিত সেন্ট্রাল এগ্রিকালচার ইউনির্ভারসিটি (CAU)-র অধীনে৷ এদিন ছাত্রছাত্রীরা ফল গবেষণা কেন্দ্রের মধ্যে নানান ফলের বাগান ঘুরে দেখেন। দেখেছেন ফার্মে রক্ষিত বিভিন্ন ফলের ফিল্ড জার্মপ্লাজম ব্লকগুলিও। এই ফার্ম ছাড়াও তারা বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রকল্পের অধীনে ফার্মগুলি ঘুরে দেখেছেন।
এদিন সকালে সিকিমের ছাত্র ও শিক্ষকদের স্বাগত জানান ফল গবেষণা প্রকল্পের আধিকারিক তথা উদ্যানবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড: কল্যাণ চক্রবর্তী। ফার্মের সভাঘরে (ডি.এল. রায় সভাকক্ষ) ছাত্রেরা প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের দ্বারা ফল গবেষণা সম্পর্কে অবহিত হন। সেই আলোচনা সভায় এবং ফার্মে তখন উপস্থিত ছিলেন ড: কল্যাণ চক্রবর্তী ছাড়াও অধ্যাপক ফটিক কুমার বাউরি, ড: সঞ্জিত দেবনাথ, শ্রীমতী অঙ্কিতা রায়, ড: অনামিকা কর, এবং পূর্বতন আধিকারিক অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র। ছাত্ররা জানতে পেরেছেন পশ্চিমবঙ্গে ফলচাষ বিষয়ে উদ্ভাবিত নানান কৃষি প্রযুক্তির কথা৷
এই সর্ব ভারতীয় স্টাডি ট্যুর নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যাপক ড: শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রকল্প AICRP on Fruits এবং AICRP on Floriculture Improvement-এর অধীনে বিজ্ঞানীরা মাঠ ঘুরিয়ে শিক্ষার্থীদের নানান বিষয় দেখিয়েছেন। নতুন নতুন ফল ও ফুল গাছ সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা ধারণা পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গ্রন্থাগার এবং বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শিক্ষাগ্রহণ করেছে শিক্ষার্থীরা। ছাত্র/ছাত্রীরা এই ভ্রমণে খুব খুশি হয়েছে। আমাদেরও ভালো লেগেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড দেখে।
অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী জানান, আমাদের ফল গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে সবসময়ই নানান অঞ্চল থেকে বহু মানুষ জানতে আসেন। আমরা সাধ্য মতো তাদের অবগত করার চেষ্টা করি৷ এইভাবে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে এই কেন্দ্রের সম্পর্ক স্থাপিত হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণের কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দ পাই।