Agriculture, Garmer, নাড়া পোড়ানোয় ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর দূষণ, চাষিদের সতর্ক করতে শিবির ও ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার কৃষি দফতরের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ ডিসেম্বর: বাতাসে উড়ছে পোড়া খড়। এলাকা ঢেকে যাচ্ছে ধোঁয়ায়। কুয়াশার সঙ্গে সেই ধোঁয়া মিশে তৈরি করছে ধোঁয়াশা। এ ভাবে জমিতে নাড়া পোড়ানোয় ভয়ঙ্কর দূষণ ছড়াচ্ছে। তা নিয়ে চাষিদের সতর্ক করতে ও নাড়া পোড়া রুখতে শিবির করে ও ট্যাবলোয় প্রচারে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর।

পরিবেশ দূষণ রুখতে এবং তা বন্ধের দাবি অনেক দিন ধরেই উঠছে। তবে ধান তোলার পরে দ্রুত জমি পরিষ্কার করতে থেকে যাওয়া গাছের গোড়া (নাড়া) আগুনে পুড়িয়ে দেন চাষিদের একাংশ। তাতে জমি উর্বর হওয়া তো দূরে থাক, নাড়া পোড়ানোর ফলে উল্টে জমির ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয় বলে জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা জানান, এতে জমিতে থাকা কৃষি সহায়ক জীবাণু পুড়ে নষ্ট হয়। তখন রাসায়নিক সারও কোনও কাজে লাগে না। নাড়া পোড়ানোর বদলে ধান গাছের গোড়া কেটে জমিতে ছড়িয়ে দেওয়া বা তা পচিয়ে জৈব সার তৈরি করলে সুফল পাবেন চাষিরা। চাষের জমির ক্ষতির সঙ্গে নাড়া পোড়ানোয় পরিবেশও মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হয়।

পরিবেশবিদ এবং শিক্ষক প্রভাকর চৌরাসিয়া জানান, এর ফলে ব্যাপক পরিমাণে কার্বন-ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড তৈরি হয়। তৈরি হয় মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডের মতো গ্যাসও, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শীতে এমনিতেই বাতাস ভারী হওয়ায় বাতাসে দূষক কণা ঘুরতে থাকে। কুয়াশার সঙ্গে নাড়া পোড়ানো ধোঁয়া এক হয়ে জমাট বেঁধে বাতাসে ঘুরতে থাকে। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে দূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে। অবিলম্বে নাড়া পোড়ানো বন্ধ না করলে আরও বড় ক্ষতি হবে। সর্বস্তরের চাষিদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। একমাত্র চেতনতাই এই ঘটনা রুখতে পারে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *