আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১০ ডিসেম্বর: রাজনৈতিক ব্যানারে মুখ ঢেকেছে বালুরঘাটের ফুট ওভার ব্রিজের। সুযোগ নিয়ে দিনের আলোতেই ঝাপিয়ে পড়েছে রোমিওরা। চলছে অশ্লীল কাজকর্ম। বেড়েছে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যও। প্রশাসন আছে বলে মনে হচ্ছে না, ক্ষোভ প্রকাশ পথ চলতি মানুষদের। লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে জনসাধারণের স্বার্থে তৈরি শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন ব্রিজের পরিস্থিতি নিয়ে হতবাক সকলেই। পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন এমন ঘটনা কিভাবে চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
প্রায় বছর পাঁচেক আগে বালুরঘাটের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তৎকালীন বিধায়ক শঙ্কর চক্রবর্তীর হাত ধরে শহরবাসীর চলাচলের স্বার্থে তৈরি করা হয় ফুট ওভার ব্রিজটি। শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকায় রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য তৈরি করা হয় এই ব্রিজটি। উদ্বোধনের পর থেকেই এই ফুট ওভার ব্রিজটিকে তেমনভাবে ব্যবহার করতে দেখা যায়নি কোনও বাসিন্দাকেই। মানুষের কাজে ব্যবহার না হওয়া এই ব্রিজটিকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করেছে একপ্রকার সমস্ত রাজনৈতিক দলই। ব্রিজের যেখানে সেখানে ব্যানার হোর্ডিংয়ে ভরে গিয়েছে। আর তার সুযোগ নিয়েই রোমিওরা মেতেছে ফুর্তিতে। বিভিন্ন ব্যানার পোষ্টারে ঢেকে যাওয়া ওই ব্রিজে জমে উঠেছে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের আড্ডা। চলছে প্রকাশ্য দিবালোকে নানা অশ্লীল কাজকর্মও। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যা নামতেই ব্রিজের উপরে আসর জমে উঠছে সমাজবিরোধীদের। মদ্যপান থেকে গাঁজা সবই চলছে সেখানে। এমন সব ঘটনা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ একপ্রকার এড়িয়েই চলছেন ওই ব্রিজকে। মঙ্গলবার সকালে রোমিওদের অশ্লীল কাজকর্ম প্রকাশ্যে আসে স্থানীয়দের। একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েও কোনও সুরাহা পাননি পথ চলতি মানুষরা বলে অভিযোগ। শহরে প্রশাসন থাকলে এমনটা কখনই ঘটতো না বলছেন স্থানীয়রা।
বাসস্ট্যান্ডের এক ব্যবসায়ী মাধব মৈত্র জানিয়েছেন, ব্যানার ফেস্টুনে ফুট ওভার ব্রিজ ঢেকে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা। যার আড়ালেই দিনের আলোতে চলছে অশ্লীল কাজকর্ম। আর সন্ধ্যা নামতেই ঘটছে আরো নানা অসামাজিক ঘটনা। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।