আমাদের ভারত, ৪ ডিসেম্বর: চিকিৎসকরা সুস্থ থাকতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিনির বদলে মধু খান। আর
মধু মনে করে যা খাচ্ছেন তা আসলে মধু নয় চিনির রস। হ্যাঁ ডাবর, পতঞ্জলি, ঝন্ডু, বৈদ্যনাথের মতো নামিদামি সংস্থার মধু ভেজাল চিহ্নিত করার পরীক্ষা ফেল করেছে সদলবলে। এমনটাই জানিয়েছে সেন্টার ফর সাইন্স এন্ডএনভারমেন্টের গবেষকরা। একমাত্র সাফোলা, মার্কফেড সোহানা এবং নেচার্স নেকটর এই শুদ্ধতার সবকটি পরীক্ষায় পাশ করেছে বলে জানা গেছে।
সিএসই-র ডায়রেক্টর জেনারেল সুনিতা নারায়ণ জানিয়েছেন করোনার মতো মহামারি চলাকালীন উত্তর ভারতের মৌমাছি পালকরা অভিযোগ করেছিলেন সেই সময় মধু বিক্রি বাড়লেও তাদের লাভ অনেক কমে গেছে।
এরপরই দেশের ছোট-বড় সংস্থার মধুর ওপর গবেষণা চালান তারা। তদন্তে দেখা যায় বাজারের সিংহভাগ দখল করে রাখা মধু সংস্থাগুলি তাদের মধুতে চিনির রস মেশাচ্ছে। সুনিতা নারায়ণের কথায় ২০০৩ ও ২০০৫ সালে সফট ড্রিংকের ভেজালের ব্যাপারে তদন্ত করে তারা যা দেখেছিলেন মধুর এই ভেজাল তার থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক। এতে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
করোনার মতো মহামারীর সময় মানুষ শরীর সুস্থ রাখতে মধু খাচ্ছেন। কিন্তু তারা জানেনা মধুতে বিপজ্জনক ভেজাল রয়েছে। এর ফলে তাদের স্থূলতা দেখা দিতে পারে এমনকি প্রাণ সংকট হওয়াটাও কিছু অদ্ভুত নয়।
যদিও ডাবর, পতঞ্জলি, ঝান্ডুর কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের মধুতে ভেজাল নেই। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া নিয়ম কানুন মেনে তাদের মধু তৈরি হয়েছে।
কিন্তু সিএসই বলেছে চলতি পরীক্ষাগুলির পাশ কাটাতে মধুতে বিশেষ ভেজাল মেশাচ্ছে সংস্থাগুলি। মধুতে মেশানো হচ্ছে চাইনিজ সুগার। যা শুধু নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্সেই ধরা পরে। কিছুদিন আগেই এন এম আর পরীক্ষা দেশে অত্যাবশক করা হয়েছে। আর তাতেই ধরা পড়ল এই প্রতারণা।

