ডাক্তার প্রশান্ত কুমার ঝরিয়াৎ
আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি: অনেক সময় দেখা যায় বহু বাচ্চা অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত বিছানায় প্রস্রাব করে।তাদের অনেকের কপালেই জোটে মায়ের শাসন আর বকাঝকা। কিন্তু এর ফল হয় হিতে বিপরীত, বাচ্চা ভয়ের চোটে আরও বেশি করে প্রস্রাব করে ফেলে।
মায়েদের উদ্দেশ্যে বলি আসুন, বাচ্চাদের অযথা বকাঝকা না করে কি কারনে বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলে সেটা জেনে নিই আর এর প্রতিকারের উপায় খুঁজি।
সাধারণত যে সকল বাচ্চারা অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে থাকে, কথায় কথায় যাদের উপর শাসন চলে,ববাচ্চার সামনেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলে, তারাই বেশি করে এই রোগের শিকার হয়। বারে বারে প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে বাচ্চা শয্যামূত্র রোগের শিকার হতে পারে। অনেক সময় মূত্রাশয়ের আকার ছোট হলেও এমনটা হতে পারে।
বাচ্চারা বিছানায় প্রস্রাব করে ফেললে অযথা তাকে বকাঝকা না করে তাকে বিছানায় প্রস্রাব যাতে না করে তার জন্য উৎসাহিত করুন। তাকে বলুন বিছানায় প্রস্রাব না করলে তার পরদিন সে একটা সারপ্রাইজ গিফট পাবে, তার সাথে সমব্যথীর মতন আচরণ করুন। এতদসত্বেও বিছানায় প্রস্রাব করে ফেললে তাকে আদর করে বলুন, বোঝান।রাতের দিকে জল খাওয়ানোটা একটু কম করুন। রাতের খাবারটা একটু তাড়াতাড়ি খাইয়ে দিন। তার এক ঘন্টা পর ঘুম পাড়ানোর আগে প্রস্রাব করিয়ে নিন, দেখবেন ধীরে ধীরে বিছানায় প্রস্রাব করা কমে যাবে।
এর সঙ্গেই কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ আছে যেগুলি এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে। আসুন সেগুলি এক নজরে একবার দেখে নেওয়া যাক।
বাচ্চা যদি খুব জেদী হয়, তার সাথে কৃমির সমস্যা থাকে, তবে সিনা ঔষধটি অত্যন্ত কার্যকরী।
সব সময় অল্প অল্প করে প্রস্রাব হয়ে চলেছে তৎসহ অল্প জ্বালা, এই রকম লক্ষণে ভার্বাসকাম অত্যন্ত ভালো কাজ করে, শয্যা মূত্র রোগে এটি প্রায় অব্যর্থ।
বাচ্চা ছোট কৃমির সমস্যায় ভুগলে ও পায়খানার দ্বার দিয়ে ছোট কৃমি বেরিয়ে এলে টিউক্রিয়াম প্রয়োগ করলে কৃমি নাশের সাথে সাথে শয্যা মূত্র রোগের ও নাশ হয়।
ইকুইজেটাম ঔষধটি বেশ কিছুদিন ধরে প্রয়োগ করলে শয্যা মূত্র রোগে ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রস্রাবের দ্বারে অসহ্য জ্বালা, প্রস্রাব ত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা হলে ক্যান্থারিস ঔষধটি প্রয়োগ করে দেখুন আপনারা অবশ্যই ফল পাবেন। এছাড়া ও অনেক হোমিওপ্যাথি ওষুধ আছে যেগুলি লক্ষণ ভেদে শয্যা মূত্র রোগে ভাল কাজ করে কিন্তু সে গুলি প্রয়োগের আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিডাক্তারবাবুর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া আবশ্যক।