হোমের মহিলারাও করোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৩০ এপ্রিল: হোমের মহিলারাও করোনার সংক্রমণ রুখতে যুদ্ধে সামিল হতে এগিয়ে এলো। ওদের কারো বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ও কারও ভিন জেলায়, আবার কারো বাড়ি অন্য রাজ্যে।

বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র হলেও এখন এই মহিলারা আদালতের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতির নিয়ন্ত্রণে থাকা ভগিনী নিবেদিতা হোমে থাকেন। নির্যাতিতা, হারিয়ে যাওয়া, পাচার হয়ে যাওয়া বা বিক্রি হয়ে যাওয়া ৪২ জন মহিলা ও ২জন শিশু তাদের মায়ের সাথে থাকে। অনেকেই শারিরীক বা মানসিক প্রতিবন্ধী বা এইচ.আই.ভি রোগে আক্রান্ত, ওদের সুস্থ সবল করে কাউসিলিং এর মাধ্যমে বাড়ির ঠিকানা খোঁজার সাথে সাথে স্বনির্ভর করে বাড়িতে বা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে ২০০৮ সাল থেকে হোম পরিচালন কর্তৃপক্ষ কাজ করে আসছে।

ওরা কেউ টেলারিং চালায়, কেউ নার্সারিতে চারা তৈরী করে, কেউ রান্নাবান্না, জুটের কাজ করে সারাবছর ধরে। সিজন অনুযায়ী কাজ করে স্ব-নির্ভরতার প্রয়াসে থাকে ওরা। পূজোর সময় পোশাক তৈরী, বর্ষায় আগে চারা তৈরী এছাড়াও সারা বছর ধরে পাটের তৈরি জিনিষ ও ন্যাপকিন তৈরীর কাজ করে। লকডাউনে এখন এগুলো কেনা বেচার কাজ সবই বন্ধ। বর্তমানে তাই করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক তৈরীর কাজে মহিলারা হাত লাগিয়েছে।

১০জন মহিলা দিনভর মাস্ক তৈরীতে এখন ব্যাস্ত। ইতিমধ্যে মাস্ক তৈরী করে হোমের আবাসিকদের, অভিভাবকদের, পথচলতি মানুষ, ড্রাইভার ও এ্যাম্বুলেন্স চালককে বিনামূল্যে দিয়েছে। এই কয়েকদিন আরো ১০০০ মাস্ক তৈরীতে ব্যস্ত ছিল ওরা। আজ হোমের ৩ সদস্য এসে এক হাজার মাস্ক তুলে দিল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পার্থ ঘোষের হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *