আমাদের ভারত, ২৪ অক্টোবর:
যে ভারতে এখনো পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাসের ফিস ফিস শোনা যায়, সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সন্তান ঋষি সুনাক আজ ব্রিটেনের তখ্তে। দীপাবলীর সন্ধ্যায় এক ইতিহাস তৈরি হলো। এই ঐতিহাসিক ঘটনার কথা ভারতবাসী বহুদিন মনে রাখবে।
প্রায় ২০৯ বছর ভারত শাসন করেছে ব্রিটিশরা। এবার সেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে এই প্রথম কোনো অশ্বেতকায় ব্যক্তি।
ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আরোও একটি পরিচয় তিনি ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা নারায়ন মূর্তির জামাই। একসময় তিনি ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। দেশের আর্থিক মন্দার সঙ্গে লড়াই করতে তাই তাকেই এগিয়ে দিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টি।
বৃটেনের সাদারবানে এক ভারতীয় পরিবারে জন্ম সুনকের। তাঁর দাদু ছিলেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তবে বাবা ব্রিটেনে চাকরি করতেন, মা ফার্মেসিস্ট ছিলেন। অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড থেকে স্নাতক তিনি। তাঁর স্ত্রী ইনফোসিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তি। ২০০৯ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে।
২০১৫ সালে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০২০ তাকে ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চান্সেলর অফ এক্সচেকার পদে বসানো হয়। করোনাকালে তাঁর আর্থিক প্যাকেজ দেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল। মাস দেড়েক আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই করেছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী পদ নাগালের কাছে এসেও হাতছাড়া হয়েছিল সুনকের। কিন্তু চাপ নিতে না পেরে ট্রাস গদি ছাড়তে ফের ভাগ্য পরীক্ষায় নেমে পড়েছিলেন সুনক। তাঁর কাছে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতিকে সঠিক জায়গায় আনা। কারন ঐ কারনেই নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন ট্রাস। পদত্যাগ করে ট্রাস বলেছেন কিছুই করতে পারেননি তিনি। ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থাকার অভিজ্ঞতার কারণেই দেশের আর্থিক পরিস্থিতির হাল ধরতে কনজারভেটিভ পার্টি তাঁকেই যোগ্য বলে মনে করেছে।