আমাদের ভারত, ১৩ এপ্রিল: ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের হিংসার ঘটনায় জন্য দায়ী করে তাদের আর্থিক বয়কটের ডাক দিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ছত্তিশগড়ে এই নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ উপরে উঠেছে। ৮ এপ্রিল ছত্রিশগড়ের বেমেতারা জেলায় যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে, তার প্রতিবাদে জগদলপুরে প্রতিবাদ সভা করে একাধিক হিন্দু সংগঠন। সেখানেই এই আর্থিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
জগদলপুরের আমাগুদা চকে হওয়া প্রতিবাদ সভায় প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। সেখানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের আর্থিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয় বলে জানাগেছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান স্থানীয় একটি বড় অংশের বিজেপি নেতৃত্ব। এই বয়কটের ডাক দেওয়ার সভায় ছিলেন বিজেপির এক প্রাক্তন সাংসদ ও জেলা সভাপতি। এই বয়কটের ডাকের ভাষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যার সত্যতা যাচাই করেনি “আমাদের ভারত”।
প্রতিবাদ সভায় হিন্দু ব্যবসায়ীদের তাদের দোকানের সামনে সাইনবোর্ড লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন নেতারা। সেখানে তারা যে হিন্দু সেটা স্পষ্ট করতে বলেছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির তরফে বলা হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকা এই প্রতিবাদ সভায় তাদের সমর্থন থাকলেও বয়কটের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা একমত নয়।
প্রসঙ্গত, ৮ এপ্রিল ২ কিশোরের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ছত্তিশগড়ের বেমেতারা। ঘটনায় ২২ বছরের এক হিন্দু যুবককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। হিংসার ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তিন পুলিশ কর্মীও। অশান্তি ছড়ানো ও খুনের অভিযোগে এখনো পর্যন্ত ১১ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। যদিও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, ঘটনায় যুক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাউকে গ্রেফতার না করে উল্টে হিন্দুদের ধরপাকড় করছে পুলিশ। তাদের অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্কের জন্য সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার মুসলিম তোষণে ব্যস্ত।