বাংলাদেশের থেকেও বিপদে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা, দাবি দিলীপ ঘোষের

আমাদের ভারত, ১ এপ্রিল:
রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হাওড়া ও ডালখোলায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন এটা পূর্বপরিকল্পিত। কিন্তু এর পাল্টায় বাংলাদেশের রামনবমীর ছবি পোস্ট করে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তার দাবি বাংলাদেশের থেকেও বিপদে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা।

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, রামনবমী উদযাপিত হয়েছে পড়শি দেশ বাংলাদেশেও। সেখানে হিন্দুরা রামনবমীর দিন শোভাযাত্রা বের করেন। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের রামনবমীর মিছিল, কিন্তু কী আশ্চর্যজনক বিষয়, সেখানে কিন্তু হিন্দুদের উপর হামলা হয়নি। এর থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশের থেকেও বেশি বিপদে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা। আর এর জন্য দায়ী একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

শনিবার সকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেউ বলল বুলডোজার নিয়ে মিছিল হয়েছে, কেউ বলছে বন্দুক নিয়ে হয়েছে। পুলিশ দেখতে পেল না? রাজনৈতিক স্বার্থে ইচ্ছা করে গন্ডগোল করিয়েছেন ওনারা। এখন পিঠ বাঁচানোর জন্য এসব বলছেন।”

সিএএ প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, “এই ঘটনা রাজ্যে প্রথম নয়। সিএএ পাস হওয়ার পর তিনদিন ধরে আগুন জ্বলেছে। ২৫০ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এই পুলিশ কিচ্ছু করেনি। দাঁড়িয়ে দেখেছিল। তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংবাদিক বৈঠক করতে‌ দেখিনি।”

রাজ্যে হিন্দুদের অবস্থার কথা বলতে গিয়ে নুপুর শর্মার ঘটনার কথাও মনে করিয়ে তিনি বলেন, “ওই ঘটনার পরে এক দিনের মধ্যে সারা দেশ ঠান্ডা হয়েছে। কিন্তু এখানে তিনদিন ধরে আগুন জ্বলেছে। হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ হয়েছে, মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছে।বিজেপির সব অফিস পোড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের দোকানপাট লুট করা হয়েছে। তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখিনি।”

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “শান্তিপূর্ণ একটি ধার্মিক মিছিলে হামলা করানো হয়েছে। সারা দেশ, সারা রাজ্য ছি ছি করছে। প্রকাশ্যে ছাদের উপর থেকে ইট পাটকেল ছোড়া হচ্ছে। তারপর এসে পাড়ায় পাড়ায় ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। শুক্রবার নমাজের পর সেই সব জায়গায় ফের হামলা করা হয়েছে যেখান থেকে সাধারণ মানুষ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের শরবত খাইয়েছেন। সেখানে বোতল ছড়া হয়েছে। আর পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। উৎপাত করতে দিয়েছে। এটাই ওদের সরকারি পলিসি। কারণ এতে ওদের রাজনৈতিক লাভ হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *