আমাদের ভারত, ২৮ জুলাই: গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের পর পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান বর্তমান মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বেগুসরাই- এর সাংসদ গিরিরাজ সিং। বিজেপি নেতা বাংলার মানুষকে সরাসরি অ্যাকশন ডে’র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হিন্দুদের সংগঠিত হতে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, আজ পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা তাদের অস্তিত্বের জন্য শেষ লড়াই লড়ছে।
নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন ঝাড়খন্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় অবৈধ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে হিন্দু গ্রামগুলি খালি হয়ে যাচ্ছে। তিনি বিহারের তিন ও পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলা নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির দাবি করেছিলেন। লোকসভার জিরো আওয়ারে এই বিষয়টি তুলেছিলেন। এবার বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ ১৯৪৬ সালে হিন্দু নিধন সহ গোপাল পাঠার প্রসঙ্গ তুলে এনে সাবধান করলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে গিরিরাজ সিং লিখেছেন, জিন্নার অনুগামী সহাবর্দি ১৯৪৬ সালের ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে’তে বাংলায় প্রায় ৩০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করেছিলেন। গোপাল মুখোপাধ্যায় হিন্দুদের সংগঠিত করে গণহত্যা বন্ধের চেষ্টা করেন। তাঁর মতো মানুষ আজ বাংলায় না দাঁড়ালে হিন্দুদের পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে পালাতে হবে। আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা তাদের অস্তিত্বের শেষ লড়াই লড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিকে নিশিকান্ত দুবে বলেছিলেন রেকর্ড হারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপ্রবেশ হচ্ছে প্রতিদিন। এর ফলে হিন্দুদের গ্রামগুলি খালি হয়ে যাচ্ছে। তাঁর চ্যালেঞ্জ, তার কথা ভুল হলে তিনি পদত্যাগে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেছিলেন, বাংলা থেকে আসা মানুষরা ঝাড়খন্ডের মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। কিন্তু সেখানে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ, বিহারের আরারিয়া, কিশানগঞ্জ ও কাটিহার নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করে ওই এলাকায় এনআরসি কার্যকর করার দাবিও তুলেছেন বিজেপি সাংসদ।