আমাদের ভারত, ২ এপ্রিল: রামনবমীর মিছিলে অস্ত্রের উপস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের তরফে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার কড়া জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা প্রশ্ন করে সুকান্ত বলেন, মহরমের মিছিলে অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?
সুকান্ত মজুমদার বলেন, মহরমের মিছিলে অস্ত্র নিষিদ্ধ করে পুলিশ কি কখনো কোনো নির্দেশিকা দিয়েছে? একই দেশে দু’ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা নির্দেশিকা কেন? সুকান্ত বাবু বলেন, অস্ত্র নিয়ে গেলেই যদি প্ররোচনায় দেওয়া হয় তাহলে মহরমের মিছিলে অস্ত্র থাকলে হিন্দুরা প্ররোচিত হয় না কেন? মহরমের মিছিলে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না এটা কি পুলিশ লিখতে পারে? গতবার লেখা ছিল? পুলিশ প্রশাসনকে প্রশ্ন করুন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও প্রশ্ন তোলেন, “আপনারা শর্ত বেঁধে দিচ্ছেন যে চারটে শর্ত মানতে হবে। আমার প্রশ্ন অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সময় কি আপনারা এরকম শর্ত বেঁধে দেন? একই সঙ্গে দেশে একই সংবিধানে যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার পাওয়ার কথা, সেখানে দুটো ধর্ম আলাদা অধিকার পাবে কেন?”
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের আক্রমণের জবাবে সুকান্ত বলেন, “মিছিলে যদি কেউ পিস্তল নিয়ে যায় তাকে পুলিশের গ্রেফতার করা উচিত। কারো হাতে পিস্তল আছে বলে কি মুসলিমদের দিয়ে তার ওপর হামলা করাবেন? বন্দুক নিয়ে গেলে তার উপর হামলা করতে হবে এটাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”
ওপর মহল থেকে এই হিংসার পরিকল্পনা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন বিজেপি নেতা। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশের উচিত ছিল যেসব বাড়িগুলি থেকে আগে হামলা হয়েছে সেগুলিতে তল্লাশি চালানো। বাড়িগুলির ছাদে পুলিশ মোতায়েন করা, কিন্তু তা হয়নি। পুলিশের কাছে মনে হয় নির্দেশ ছিল যে দাঙ্গাটা হতে দাও।”
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “পরের বার আবার মিছিল হবে। ওই রাস্তা দিয়েই হবে। পুলিশকে বলবো ছাদে বসে থাকুন সামলান সবটা।”