আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারি: ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে পুলওয়ামার শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালো জাতীয়তাবাদী হিন্দু যুব গোষ্ঠী। আজ সন্ধ্যায় শহিদদের প্রতি এভাবেই শ্রদ্ধা জানান খড়দহের যুবকরা।
গত বছর এই দিনে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের আত্মঘাতী হানায় নিহত হয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল খড়দহের জাতীয়তাবাদী হিন্দু যুব গোষ্ঠী। শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় যজ্ঞ করা হয়। যজ্ঞ করেন চারজন সাধু। এঁনারা হলেন, অম্বিকানন্দ মহারাজ, আত্মরূপ মহারাজ, ভবানন্দ মহারাজ এবং কল্লোল মহারাজ। দু’ঘণ্টা ধরে এই শান্তি যজ্ঞ করা হয়।
সন্ধ্যায় শহিদদের উদ্দেশ্যে ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ত শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সম্পাদক উত্তম অধিকারী। তিনি বলেন, আজ এই তথাকথিত প্রেমের দিনে বুদ্ধিজীবীদের লেখালেখির অন্ত নেই। অথচ যাঁরা সীমান্ত রক্ষা করছেন সেই জওয়ানদের এক বছর আগে এই দিনে হত্যা করা হয়েছিল। আজ তাদের জন্য এই বুদ্ধিজীবীদের কলমে কালি নেই। আমরা ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, কানাইলাল বসুদের দেখিনি, কিন্তু সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী এই জওয়ানদের দেখেছি। তাই তাদের প্রতি তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের কর্তব্য। বিশিষ্ট সমাজসেবী মৃত্যুঞ্জয় পাল সেদিনের সেই নৃশংস ঘটনার বর্ণনা করেন, কিভাবে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় লস্কর-ই-তৈবা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। যারা দেশে সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দেয় তাদের তিনি বয়কট করার জন্য যুবসমাজকে আহবান জানান। এই প্রসঙ্গে নৈহাটি বিষ্ফোরনের কথা উল্লেখ করে পরক্ষভাবে শাসক দলকে ইঙ্গিত করেন।
এই অনুষ্ঠানে এলাকার প্রায় ১০০ দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীকে পড়াশুনার সামগ্রী দেওয়া হয়।