আমাদের ভারত, ৭ জুলাই: প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে। এরপর ক্রমাগত ধর্ম বদলে চাপ দিয়ে গো মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা। লাভ জেহাদ তো বটেই, পাঁচ বছরের সংসারে মানসিকভাবে ও ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হিন্দু মহিলা। শেষ পর্যন্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে।
আরতি কুমারী নামে এই যুবতীর বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। তাঁর দাবি, মহম্মদ শাহাবাজ নামে এক যুবকের সঙ্গে তার ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা বারে দু’জনের। এরপর একদিন ইন্দোর থেকে বেগুসরাইতে গিয়ে শাহবাজকে বিয়ে করেন তিনি। শুরুতে সব ঠিক থাকলেও কিছুদিন পর শাহাবাজের আসল রূপ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। প্রথমে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। জোর করে গো মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। আরতীর ফোনে থাকা দেব-দেবীর ছবি ডিলিট করতে বলা হয়। রাজি না হলে শুরু হয় নির্যাতন।
আরতির অভিযোগ, ফেসবুকে নিজেকে সোনা রুপার ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও আসলে সোনার দোকানের সাধারণ কর্মী শাহবাজ।
পুলিশ আরতীকে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেয়। কিন্তু আরতী তাতে রাজি হয়নি। সে কোনরকমে নিজের বাড়ি ইন্দোরে ফিরতে চান। পুলিশের তরফে ওই মহিলার মেডিকেল টেস্ট করানো হবে। আরতীর কথায়, আমি শাহবাজের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য বাবা- মা আমাকে পছন্দ করেন না। তবে আমি জানি, তারা আমাকে ফেলতে পারবেন না।আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই। আপাতত তাকে সরকারি হোমে রাখা হয়েছে।
এদিকে আরতির তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাহবাজ। তার পাল্টা দাবি, আরতী তিন সন্তানের মা। তার আগে বিয়ে হয়েছিল। এইসব তথ্য তিনি জানতেন না। আরতীর এখন আর মা হওয়ার ক্ষমতা নেই। তিনি পুলিশকে বলেন, আরতী লেখাপড়া জানে না, তাকে কেন আমি কোরান পড়তে বলবো? বা গো মাংস খাওয়ার জন্য জোড় করব? যা অভিযোগ করা হচ্ছে সব মিথ্যে।