আমাদের ভারত, ২০ সেপ্টেম্বর: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইংল্যান্ডের লিসাস্টার শহর। হিন্দু মন্দির ভাঙ্গচুর, গেরুয়া পতাকা ছেঁড়ার মত ঘটনাকে ঘিরে অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ জানায় এই তান্ডবের নেপথ্যে রয়েছে ইসলামিক জেহাদিরা। এমনকি ওই এলাকার হিন্দু পরিবারগুলোর বাচ্চাদের পণ বন্দি করে রাখার চেষ্টা হয়েছিল। তাতে ব্যর্থ হয়ে এলাকার বাড়ি গুলিতে ভাঙ্গচুর চালায় তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতমাসে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর এই হামলার সূত্রপাত বলে জানা গেছে। পূর্ব ইংল্যান্ডের শহর লিসাস্টারে আচমকাই উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় হিন্দু মন্দিরের উপরে হামলা হয়। আক্রান্ত হয় হিন্দু পরিবারগুলো। পুলিশ সূত্রে খবর, একদল উন্মত্ত জনতা সেখানকার বাসিন্দাদের পণ বন্দি করে রাখার চেষ্টা করেছিল। তাতে ব্যর্থ হবার পরই তারা সরাসরি হামলা চালায় মন্দিরে। এছাড়াও অন্যান্য সম্পত্তি ভাঙ্গচুর করে। শনিবার সন্ধে থেকে অশান্তি আরো বাড়তে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। রবিবার ভোর পর্যন্ত পরিস্থিতি বেশ খানিকটা উদ্বেগজনক ছিল।
লিসাস্টার পুলিশের বক্তব্য, হিন্দু মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে শনিবার থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সেখানকার একদল বাসিন্দা। তাদের দাবি, দোষী মুসলিম জেহাদিদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিক্ষোভ ও চরম আকার ধারণ করে।
এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, যেভাবে লিসাস্টারে ভারতীয়দের ওপর হামলা হচ্ছে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে তার কড়া নিন্দা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা প্রতীক ও ধর্মীয় স্থানে ভাঙ্গচুরের নিন্দা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে ইউকে প্রশাসনের সঙ্গে ভারত বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও যারা নির্যাতিত তাদের নিরাপত্তার দাবি করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় দূতাবাস।
জানা যায়, ওই দিনের ম্যাচের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রটতে থাকে যে লিসাস্টারের একটি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে। সেই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙ্গচুর হয়েছে।