হিন্দু জনজাতিরা অবহেলিত, বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা পাচ্ছে দেদার ওবিসি সার্টিফিকেট, সরব সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ১৩ জুন: কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের ওবিসি তালিকা থেকে হিন্দু জনজাতির সংখ্যা কমে গেল? অথচ সেখানে রোহিঙ্গারা জায়গা পেল। অনগ্রসর জনজাতিদের জন্য তৈরি জাতীয় কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদন টুইটারে পোস্ট করে এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

রিপোর্টে অবাক করা তথ্য উঠে এসেছে। ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস বা এনসিবিসি’র চেয়ারম্যান হংসরাজ আহেরি জানিয়েছেন, তিন মাসে পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি তালিকায় মোট ১৭৯ টি কেস উঠে এসেছে। যার মধ্যে ১১৮টি মুসলিম জনজাতি ভুক্তের নাম। এছাড়া কমিশন ইতিমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগও পেয়েছে। সেইসব অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, বাংলার যে ওবিসি তালিকা রয়েছে তাতে আলাদা করে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী মুসলমানদের স্থান দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আহেরি। কমিশনের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে তালিকা সংশোধন করা হয়।

ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস বা এনসিবিসির চেয়ারম্যান হংসরাজ আহিরের দাবি, আসলে অনৈতিকভাবে মুসলিমদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এর পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলেও তাঁর মত। কারণ মুসলিম ভোটব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে টানতেই এই কাজ করা হয়েছে বলে তার ধারণা।

তথ্য অনুযায়ী তালিকায় আগে হিন্দু জনজাতির সংখ্যা ছিল ৫৫। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেখানে মাত্র ছয়টি জনজাতিকে স্থান দিয়েছে। অন্যদিকে মুসলিম জনজাতি সংখ্যা ছিল ৫৩ যা বাড়িয়ে করে দেওয়া হয়েছে ৬৫।

কিছুদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর টুইটার হেন্ডেলে এই রিপোর্ট নিয়ে প্রকাশিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদন তুলে ধরে সরব হয়েছেন। এই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, কেন বাংলার বুকে আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা হিন্দুরা ওবিসি সার্টিফিকেট পাবে না? অথচ রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী মুসলিমরা এই সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ওবিসি তালিকার বিষয়ে জানাতে গিয়ে এনসিবিসি চেয়ারম্যান হংসরাজ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওবিসি তালিকা ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। সেখানে দেখা গেছে মুসলিম জনজাতির ৯০% এ ক্যাটাগরি ওবিসি তালিকাভুক্ত। যারা সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করে। আর অন্য যে ভাগ রয়েছে তাতে ওবিসি তালিকাভুক্তরা কম সুবিধা পান। আর সেই বি তালিকায় হিন্দু জনজাতিকে সবচেয়ে বেশি করে রাখা হয়েছে। ফলে হিন্দু জনজাতিগুলি বেশি করে বি ক্যাটাগরিতে থাকায় ওবিসি হওয়ার কম সুযোগ সুবিধা পান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *