আমাদের ভারত, ১৯ এপ্রিল: মৌলবাদীরা সরকার ও প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার অজুহাতে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে হিন্দুদের জাতিগত ভাবে নির্মূল করতে উদ্যত হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “হিন্দু পরিবার গুলি, বিশেষ করে মায়েরা, বোনেরা, দুধের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে, এক কাপড়ে, ঘর বাড়ি, বিষয় সম্পত্তি, গবাদি পশু ফেলে রেখে প্রাণ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে নদী পেরিয়ে মালদহের বৈষ্ণবনগরের দেওনাপুর-সোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পারলালপুর হাই স্কুল সহ অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
তারপর এই নির্লজ্জ ও বিবেকহীন রাজ্য সরকার কী করলো? ত্রাণ শিবিরগুলোকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পরিণত করে দিলো। শরণার্থীদের সংবাদমাধ্যম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি অথবা বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধা দিচ্ছে। আশ্রয়হীন হিন্দুদের কাঁকর ভর্তি চালের ভাত ও পোকা লাগা সবজি দিয়ে রান্না করা, মুখে তোলার অযোগ্য নিম্নমানের খাবার খেতে দিচ্ছে।
এলাকার ভারপ্রাপ্ত পুলিশের আধিকারিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি গোডাউনের ভেতর চালান করছে ও সস্তার মালপত্র শিবিরে সরবরাহ করছে।
এমনকি, যে স্বেচ্ছাসেবীরা মানবিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করছে যাতে কেউ সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে দেয়। এমনই এক নোটিশের কপি সংযুক্ত করলাম।
এই হিন্দু শরণার্থীরা নির্যাতন ও প্রাণনাশের ভয়ে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে এসেছেন। তাদের প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণ কেবল অমানবিকই নয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। রাজ্য সরকার ও পুলিশের এই নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা, স্বাধীনভাবে যোগাযোগের অধিকার এবং স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে, তাদের কণ্ঠরোধ করার এই নির্লজ্জ প্রয়াস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। শরণার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী শিবিরের মধ্যে সর্বসমক্ষে গ্রহণ করতে হবে এবং ব্যবহার ও বিতরণ করতে হবে।
যদি এই নিন্দনীয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চলতে থাকে তাহলে এই নির্লজ্জ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।”