আমারত, ২৩ ফেব্রুয়ারি: শুধু সন্দেশখালি নয়, রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় জনবিন্যাসের বদল ঘটেছে, সেখানেই নিয়মিত ভোগের বস্তুতে পরিণত হয় হিন্দু মেয়েরা। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে মানবাধিকার পুরোদমে ধর্ষিত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা সবার সঙ্গে কথা বলুন। তারপর ওখানকার মহিলাদের সঙ্গে যে অত্যাচার হয়েছে তার বাস্তবিক রূপ গোটা ভারতবর্ষকে জানান। সন্দেশখালিতে মানবাধিকার সম্পূর্ণ রূপে ধর্ষিত হয়েছে। বিঘের পর বিঘে জমি দখল হয়ে গেছে। মহিলারা বলেছেন, কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তাকে মোটা কোদালের বাঁট দিয়ে পেটানো হতো।
এমনকি ২২ তারিখ রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিন্দুরা উদযাপন করতে গিয়েছিল, কিন্তু উদযাপন করতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “হিন্দুদের কি ধর্মীয় অধিকার নেই পশ্চিমবঙ্গে? আমাদের তিনটে অফিস এখনো বন্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে গণতন্ত্র বলেন? এটাকে গণতন্ত্র বলা উচিত?”
উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটছে। জনবিন্যাস যেখানে বদলে গেছে সেই সব জায়গায় হিন্দু মেয়েদের নিয়মিত ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “আমরা গোটা বাংলার মা-বোনেদের বলতে চাই, আপনারা নজর রাখুন, সন্দেশখালি হয়তো আজ আপনার বাড়ি থেকে দূরে আছে, আগামীকাল আপনার বাড়ির পাশে সন্দেশখালি হতে পারে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে মহিলা বিক্ষোভের প্রথম দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তথা সংবাদ মাধ্যমে এক বিক্ষোভকারী মহিলার মন্তব্য ভাইরাল হয়। তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলছেন, শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা গ্রামের সুন্দর মহিলাদের চিহ্নিত করত ও রাতের বেলায় তাদের পার্টি অফিসে যেতে বলতো। একই সঙ্গে ওই মহিলা আরো দাবি করেছিলেন, শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীরা শুধু মাত্র হিন্দু মেয়েদেরকেই বেছে নিত। অর্থাৎ ওই এলাকার হিন্দু মেয়েদের উপরেই নির্যাতন হয়েছে দিনের পর দিন।
এদিকে সুকান্ত মজুমদার আজ আরও দাবি করেন, পুলিশ সব জানে শেখ শাহজাহান কোথায় আছে। মুখ্যমন্ত্রী পঞ্জিকা দেখে তারিখ ঠিক করছেন। আমার আপনার পঞ্জিকার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্জিকা মিলবে না। সুকান্তবাবু বলেন ১, ২, ও ৬ মার্চ রাজ্য সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই সময় তাঁর একাধিক সভা করার কথাও হয়েছে।